আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা তাদের নির্বাচনি এলাকায় গণসংযোগ ও পথসভা করছেন। সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে শেরপুর-২ (নকলা-নালিতাবাড়ী) আসনের বিএনপির দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশী প্রকৌশলী ফাহিম চৌধুরীর নকলা ও নালিতাবাড়ীর প্রতিটি এলাকায় প্রতিনিয়ত গণসংযোগ ও পথসভা করছেন।
এরই অংশ হিসেবে নকলা উপজেলার ১নং গণপদ্দী ডিজিটাল ইউনিয়নের খারজান বাজারে ও গণপদ্দী বাজারে দুটি গণসংযোগ ও পথসভা করেন। এ ছাড়া রাতে পৌরসভার কলাপাড়া এলাকায় মতবিনিময় সভা ও গণসংযোগ করেন তিনি।
গণপদ্দী বাজারের গণসংযোগ ও পথসভায় উপজেলা বিএনপির সদ্য সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সায়েদুল হক লাঞ্জুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন এমপি পদে বিএনপি থেকে দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশী জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও জাতীয় সংসদের সাবেক হুইপ মরহুম জাহেদ আলী চৌধুরীর ছেলে প্রকৌশলী ফাহিম চৌধুরী।
বিএনপি নেতা বরুন চৌধুরীর সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, শেরপুর জেলা জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহমুদুল হক দুলাল, উপজেলা বিএনপির সদ্য সাবেক আহ্বায়ক খোরশেদুর রহমান, সদ্য সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মহিউদ্দিন মুক্তার ও মোবাশ্বের আলী চৌধুরী টুটুন, ১নং গণপদ্দী ডিজিটাল ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক লিংক ও বিএনপি নেতা দারা হাজী প্রমুখ।
এ সময় জেলা যুবদলের সাবেক সদস্য এনামুল হক পান্নু, উপজেলা বিএনপির সদ্য সাবেক সদস্য রাব্বেনূর চৌধুরী, সাবেক ছাত্রনেতা উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ চৌধুরী, জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য এনামুল হক রিপনসহ উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, কর্মী-সমর্থকসহ অগণিত সাধারণ ভোটাররা উপস্থিত ছিলেন।
সাধারণ ভোটাররা জানান, জাতীয় সংসদের সাবেক হুইপ প্রয়াত জাহেদ আলী চৌধুরীর ছেলে প্রকৌশলী ফাহিম চৌধুরীকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন দিলে যেকোনো দলের প্রার্থীর সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিপুল ভোটে বিজয়ী হবেন। নকলা নালিতাবাড়ীর সাধারণ জনগণের জন্য নিরাপদ ও আস্থার জায়গা এখন একজনই, তিনি হলেন ফাহিম চৌধুরী।
তারা আরও বলেন, ‘প্রকৌশলী ফাহিম চৌধুরী পক্ষে প্রতিটি গণসংযোগ ও পথসভাসহ রাজনৈতিক যেকোনো কর্মকাণ্ডে জনতার যেন ঢল নেমে আসে। তার ডাকে জনগণের স্বতস্ফূর্ত উপস্থিতি নজির সৃষ্টি করছে। জনমত যাচাই ছাড়া অজ্ঞাত কোনো কারণে প্রকৌশলী ফাহিম চৌধুরীকে ছাড়া অন্য কাউকে এখান থেকে মনোনয়ন দিলে, গুরুত্বপূর্ণ এই আসনটি অন্য কোনো দলের নিয়ন্ত্রণে চলে যেতে পারে বলে সাধারণ ভোটাররা মন্তব্য করেন। তাদের বিশ্বাস, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা ও মাঠ পর্যায়ের জনমত জরিপ করার পরেই মনোনয়ন দিবেন মনোনয়ন নির্বাচকমণ্ডলী ও নীতিনির্ধারক পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ। তা না হলে এই আসনটি ফিরে পেতে কঠিন হতে পারে বলে সাধারণ কর্মী-সমর্থকসহ ভোটাররা মনে করছেন।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন