কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলায় ছাত্রদল নেতার হামলায় জমির উদ্দিন (৪৫) নামের এক জাসদ কর্মী নিহত হয়েছেন।
সোমবার (৩০ জুন) সন্ধ্যা ৭টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
নিহত জমির উদ্দিন উপজেলার আমলা ইউনিয়নের মিটন এলাকার আব্দুর রহমানের ছেলে। তিনি পেশায় কৃষক ছিলেন এবং দীর্ঘদিন ধরে জাসদের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার দুপুর ২টার দিকে আমলা ইউনিয়নের মিটন এলাকার ঈদগাহ মাঠের সামনে জমির উদ্দিনের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় ছাত্রদল নেতা অনিক ও তার সহযোগীরা। অনিক বর্তমানে আমলা ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। পূর্ব শত্রুতার জেরে এই হামলার ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
নিহতের স্ত্রী জোৎস্না খাতুন জানান, তার স্বামী জমি বন্ধক রেখে ভাইয়ের চিকিৎসার জন্য টাকা আনতে বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন। রাস্তায় বাধা দিয়ে অনিক ও তার লোকজন তাকে বেধড়ক মারধর করে। তিনি আরও বলেন, ‘দুই বছর আগে স্থানীয় এক চায়ের দোকানে অনিককে চড় মেরেছিলেন আমার স্বামী। সেই ঘটনার প্রতিশোধ নিতেই আজ তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।’
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. হোসেন ইমাম বলেন, ‘নিহতের মাথা, বুকে ও পায়ে গুরুতর আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যাচ্ছে, ওই আঘাতের কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে।’
মিরপুর থানার ওসি মমিনুল ইসলাম জানান, ‘পূর্ব শত্রুতার জেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। জমির উদ্দিনকে হাতুড়ি ও হকস্টিক দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে এবং দোষীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।’
এদিকে জমির উদ্দিনের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকাজুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। নিহতের স্বজনরা প্রতিপক্ষের বাড়ি-ঘর ও দোকানপাটে হামলা চালায় বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
ঘটনাটি ঘিরে এলাকায় এখন চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :