ঢাকা শনিবার, ০২ আগস্ট, ২০২৫

সিঁড়ির নিচে জাতীয় পতাকা, কলেজের বিরুদ্ধে অবমাননার অভিযোগ

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: আগস্ট ২, ২০২৫, ০২:২৫ পিএম
সিঁড়ির নিচে দুমড়ানো অবস্থায় ফেলে রাখা জাতীয় পতাকা– রাজিবপুর আদর্শ কলেজ, মানিকগঞ্জ। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার রাজিবপুর আদর্শ কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকার অবমাননার অভিযোগ উঠেছে। কলেজ চলাকালে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হলেও কলেজ শেষে সেটি নামিয়ে অবহেলায় সিঁড়ির নিচে ফেলে রাখা হয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

শনিবার (২ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে সরেজমিনে দেখা যায়, কলেজ বন্ধ রয়েছে, নেই কোনো শিক্ষক, শিক্ষার্থী বা কর্মচারী। মূল ভবনের কলাপসিবল গেটে তালা ঝুলছে। ঠিক সেই ভবনের নিচতলার সিঁড়ির নিচে একটি দুমড়ানো-মুচড়ানো জাতীয় পতাকা পড়ে থাকতে দেখা যায়।

এভাবে জাতীয় পতাকা অবমাননার কিছু ছবি এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে, যা ঘিরে তৈরি হয়েছে তীব্র সমালোচনার ঝড়। স্থানীয়রাও এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।

বাংলাদেশের পতাকা বিধিমালা অনুযায়ী, প্রতিদিন সকালে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের পর সূর্যাস্তের আগে সেটি সম্মানের সঙ্গে নামাতে হয়। সূর্যাস্তের পরে পতাকা উত্তোলিত অবস্থায় রাখা, পতাকাকে ভাঁজ না করে ফেলে রাখা বা ভূমিতে পতিত করা- সবই জাতীয় পতাকার অবমাননার শামিল।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কলেজের অধ্যক্ষ খোরশেদ আলম বলেন, ‘জাতীয় পতাকা ভালোভাবে সংরক্ষণ করা আছে। সিঁড়িতে যেটা রয়েছে সেটা পুরোনো ও নষ্ট পতাকা। যদি এটা অবমাননা হয়, তাহলে সরিয়ে ফেলা হবে।’

কলেজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি আলী আশরাফ বলেন, ‘কলেজে কেউ জাতীয় পতাকা অবমাননা করতে পারে- এটা আমার কাছে অবিশ্বাস্য। আমি বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।’

এদিকে মানিকগঞ্জের জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আমীর হোসেন বলেন, ‘বিষয়টি শুনেছি। আমি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিচ্ছি।’

ঘটনার বিষয়ে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ মেজবাহ উল সাবেরিন বলেন, ‘জাতীয় পতাকা পুরোনো হলেও এভাবে অবহেলায় ফেলে রাখার সুযোগ নেই। সম্মানের সঙ্গে সংরক্ষণ করতে হবে। আমি অধ্যক্ষের সঙ্গে কথা বলে ব্যাখ্যা চাচ্ছি।’