শনিবার, ২৩ আগস্ট, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: আগস্ট ২৩, ২০২৫, ১২:০৯ পিএম

ময়নাতদন্তের পর সাংবাদিক বিভুরঞ্জনের মরদেহ ঢাকায় আনা হবে

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: আগস্ট ২৩, ২০২৫, ১২:০৯ পিএম

সাংবাদিক বিভুরঞ্জন সরকার। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

সাংবাদিক বিভুরঞ্জন সরকার। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

দীর্ঘ পাঁচ দশকেরও বেশি সময় ধরে সাংবাদিকতা করে আসা প্রবীণ সাংবাদিক বিভুরঞ্জন সরকার আর নেই। জীবনের শেষ প্রহরে এসে নিজের হতাশা, আর্থিক সংকট ও পারিবারিক দুর্ভাবনার কথা জানিয়ে একটি খোলা চিঠি লেখেন তিনি। সেটিই হয়ে ওঠে তার জীবনের শেষ লেখা। চিঠিটি প্রকাশের পরদিনই মেঘনা নদী থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) সকালে রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরীর বাসা থেকে কর্মস্থলের উদ্দেশে বেরিয়েছিলেন তিনি। এরপর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন বিভুরঞ্জন সরকার। একদিন পর, শুক্রবার (২২ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার বলাকির চর এলাকায় মেঘনা নদীতে তার মরদেহ ভেসে থাকতে দেখা যায়। স্থানীয়দের ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে কলাগাছিয়া নৌপুলিশ ফাঁড়ির একটি দল।

বিভুরঞ্জন সরকার দৈনিক আজকের পত্রিকার জ্যেষ্ঠ সহকারী সম্পাদক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। মৃত্যুর আগে তিনি একটি অনলাইন সংবাদমাধ্যমে ‘খোলা চিঠি’ পাঠান, যা বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া ৯টার দিকে ই-মেইলে পাঠানো হয়। ফুটনোটে লেখা ছিল- ‘জীবনের শেষ লেখা হিসেবে এটা ছাপতে পারেন।’

চিঠিটিতে উঠে আসে তার দীর্ঘ সাংবাদিকতা জীবনের নানা অভিজ্ঞতা, বর্তমান রাজনৈতিক ও গণমাধ্যম পরিস্থিতি, ব্যক্তিগত ও পারিবারিক সমস্যার চিত্র। এসব নিয়ে গভীর হতাশা প্রকাশ করেন তিনি।

নিখোঁজ হওয়ার পর তার ছেলে ঋত সরকার রাজধানীর রমনা থানায় সাধারণ ডায়রি (জিডি) করেন। সেখানে উল্লেখ করা হয়, সকাল ১০টায় অফিসে যাওয়ার কথা বলে বাসা থেকে বের হন বিভুরঞ্জন সরকার। বিকেল ৫টার মধ্যে বাসায় ফেরার কথা ছিল, কিন্তু তিনি আর ফেরেননি। তার মোবাইল ফোনটিও বাসায় ছিল।

শুক্রবার রাত পৌনে ৯টার দিকে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে গিয়ে মরদেহটি শনাক্ত করেন তার ছেলে ঋত সরকার ও ভাই চিররঞ্জন সরকার। শনিবার (২৩ আগস্ট) সকালে ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ ঢাকায় নিয়ে আসা হবে বলে জানিয়েছেন ঋত সরকার।

কলাগাছিয়া নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সালেহ আহম্মেদ পাঠান জানান, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে তদন্ত চলছে।

বিভুরঞ্জন সরকারের আকস্মিক ও মর্মান্তিক মৃত্যু সাংবাদিক সমাজ এবং পাঠকমহলে গভীর শোকের ছায়া ফেলেছে। একজন অভিজ্ঞ সাংবাদিকের খোলা চিঠিতে যে ব্যথা উঠে এসেছে, তা এখন বড় এক প্রশ্ন তুলে দেয়- এই সমাজে প্রতিদিন কতজন বিভুরঞ্জন সরকার নিঃশব্দে বাঁচার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন?

Link copied!