মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় পুলিশ ক্যাম্পে সশস্ত্র হামলার ঘটনায় জড়িত মেঘনা নদীর শীর্ষ নৌ-ডাকাত আক্তার সরকার (৫০)-কে গ্রেপ্তার করেছ র্যাব-১১।
সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেন র্যাব-১১-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন।
এর আগে রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে কুমিল্লার তিতাস থানা এলাকা থেকে আক্তারকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত আক্তার সরকার মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের সরকারবাড়ি এলাকার আ. মজিদ সরকারের ছেলে। তার বিরুদ্ধে গজারিয়া, দাউদকান্দি ও চাঁদপুরসহ বিভিন্ন থানায় মোট ২৭টি মামলা রয়েছে।
এসব মামলার মধ্যে রয়েছে ৪টি হত্যা, ২টি ডাকাতি, ১টি অপহরণ, ১টি চাঁদাবাজি, ৪টি বিস্ফোরক আইনে, ১টি মাদক এবং ১৪টি হত্যা চেষ্টার মামলা।
র্যাব-১১-এর অধিনায়ক জানান, গত ২৫ আগস্ট বিকেল ৫টার দিকে গজারিয়া থানা ও গুয়াগাছিয়া পুলিশ ক্যাম্পের সদস্যরা মেঘনা নদীতে যৌথ অভিযান চালায়। অভিযানের সময় নয়ন, পিয়াস ও আক্তারের নেতৃত্বে ৪০-৫০ জনের একটি ডাকাত দল ৪-৫টি হাই-স্পিড ট্রলারে করে এসে পুলিশকে লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপ ও গুলিবর্ষণ করেন। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালালে তারা পালিয়ে যান।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে নয়ন, পিয়াস ও আক্তার বাহিনীর সদস্যরা মেঘনা নদী ও এর শাখা নদীতে অবৈধ বালুমহাল চালানো, নৌযান থেকে চাঁদাবাজি এবং নদীপথে ডাকাতির মতো অপরাধ কর্মকাণ্ডে লিপ্ত ছিলেন। তাদের ভয়ে গত এক বছরে শতাধিক পরিবার এলাকা ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়। ডাকাতদের হামলায় একাধিক ব্যক্তি নিহতও হয়েছেন।
র্যাব জানায়, আক্তারের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রোববার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার মোল্লাকান্দি এলাকায় অভিযান চালানো হয়।
অভিযানে পুলিশ ক্যাম্পে হামলায় ব্যবহৃত একটি বিশেষ ইঞ্জিনচালিত নৌকা, ৫টি পিতলের নৌকার পাখা, ২টি চুম্বক, ১টি বাইনোকুলার, ১টি ছোরা এবং ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত আরও বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
এর আগে গত ২৮ আগস্ট ও ৩ সেপ্টেম্বর র্যাব-১১-এর পৃথক অভিযানে একই ঘটনার সঙ্গে জড়িত আরও চার জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃত আক্তার সরকারের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন