মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় পুলিশ ক্যাম্পে সশস্ত্র হামলার ঘটনায় জড়িত নয়ন-পিয়াস বাহিনীর সহযোগী ও ৩০ মামলার আসামি আবুল কালামকে (৪১) অস্ত্র, গুলি ও ডাকাতির সরঞ্জামসহ র্যাব-১১ গ্রেপ্তার করেছে।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নারায়ণগঞ্জে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে র্যাব-১১-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, র্যাব প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, খুনি, অবৈধ অস্ত্রধারী, ডাকাত ও অপহরণকারীদের গ্রেপ্তারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। সেই ধারাবাহিকতায় গজারিয়া ও গুয়াগাছিয়া পুলিশ ক্যাম্পে হামলার ঘটনায় জড়িত শীর্ষ নৌ-ডাকাত আবুল কালামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চলমান রয়েছে।
মামলার এজাহার অনুযায়ী, গত ২৫ আগস্ট বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে গজারিয়া থানা ও গুয়াগাছিয়া পুলিশ ক্যাম্প যৌথভাবে মেঘনা নদীতে অভিযান চালাকালে নয়ন-পিয়াস বাহিনীর নেতৃত্বে ৪০-৫০ জন ডাকাত ৪-৫টি হাইস্পিড ট্রলার ব্যবহার করে পুলিশকে লক্ষ্য করে ককটেল বোমা ও গুলি ছুড়েছিল। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়। পরে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।
স্থানীয়রা জানান, নয়ন-পিয়াস ও আবুল কালাম বাহিনী দীর্ঘদিন ধরে মেঘনা নদীতে অবৈধ বালুব্যবসা, নৌযান চাঁদাবাজি ও একাধিক হত্যাকাণ্ডে জড়িত। তাদের ভয়ে শতাধিক পরিবার এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গেছে।
র্যাব জানায়, সোমবার ভোরে সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে চাঁদপুরের মতলব উত্তর থানার মোল্লাকান্দি এলাকায় অভিযান চালিয়ে আবুল কালামকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে একটি পাইপগান, দুটি গুলি, টাকা গণনার মেশিন, একাধিক মানচিত্র ও বিদেশি মুদ্রাসহ ডাকাতির বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
র্যাব সূত্রে জানা যায়, আবুল কালামের বিরুদ্ধে মুন্সিগঞ্জের বিভিন্ন থানায় ৩০টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে ৩টি হত্যা, ১টি ডাকাতি, ৪টি বিস্ফোরক, ১টি চাঁদাবাজি, ৩টি মাদক এবং ১৮টি অন্যান্য মামলা অন্তর্ভুক্ত।
এ ছাড়া, গত ২৮ আগস্ট, ৩ সেপ্টেম্বর ও ৭ সেপ্টেম্বর পৃথক অভিযানে নয়ন-পিয়াস বাহিনীর আরও পাঁচ জন সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার আসামিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
গজারিয়া থানার ওসি আনোয়ার আলম আজাদ জানান, ‘আমরা র্যাবের তথ্য পেয়েছি। তবে এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের আমাদের হাতে হস্তান্তর করা হয়নি।’
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন