বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেছেন, ছাত্র রাজনীতি বন্ধের দাবি শুধু বিস্ময়কর নয়, রহস্যজনক এবং ষড়যন্ত্রমূলক। ছাত্র রাজনীতির অনেক গৌরবজনক অধ্যায় রয়েছে। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, বাষট্টির শিক্ষা আন্দোলন, ঊনসত্তুরের গণ অভ্যুত্থান, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, নব্বইয়ের গণঅভ্যুত্থান, চব্বিশের ছাত্র গণঅভ্যুত্থান ছাড়াও বিভিন্ন সময়ে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ছাত্র রাজনীতি নিয়ামক ভূমিকা পালন করেছে।
সোমবার (১১ আগস্ট) বিকেলে ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার কলসিন্দুর মাদ্রাসা মাঠে আয়োজিত এক স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। গণঅভ্যুত্থানে নিহত গামারীতলা ইউনিয়নের দড়িপাড়া গ্রামের হাফেজ মাজেদুল ইসলামের প্রথম শাহদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে উপজেলা ছাত্রদল এ স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিলে আয়োজন করে।
এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, তারেক রহমান গণমানুষের নেতা, বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ প্রধানমন্ত্রী। অতিশীঘ্রই জনগণের মাঝে ফিরে আসবেন। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আশীর্বাদ নিয়ে তারেক রহমান শহীদের রক্তঋণ পরিশোধ ও গণ অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে বৈষম্যহীন, ন্যায়ভিত্তিক সাম্য ও মানবিকতার নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলবেন।
এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, তারেক রহমান ইতোমধ্যে তার ইতিবাচক ও গণমুখী রাজনৈতিক কর্মসূচির কারণে জনগণের তো বটেই, গণতান্ত্রিক বিশ্বেরও দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। তারেক রহমান রাষ্ট্র ও রাজনীতির ইতিবাচক পরিবর্তন চান।
তিনি প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হলে রাষ্ট্র, রাজনীতি ও জনগণের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটবে। তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপি গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের রক্তের ঋণ পরিশোধ করতে জনগণের সেবক হয়ে কাজ করবে, শাসক বা শোষক হিসেবে নয়। শহীদ হাফেজ মাজেদুল ইসলামসহ শহীদদের হত্যাকারী হাসিনাসহ অন্যান্য খুনীদের বিচার বিএনপি নিশ্চিত করবে।
তিনি বলেন, বিগত ১৫ বছর ফ্যাসিবাদী শাসনে ছাত্রলীগ ছাত্র রাজনীতিতে যে কলঙ্কজনক ভূমিকা রেখেছে, তার জন্য ছাত্র রাজনীতি দায়ী নয়, দায়ী ছাত্রলীগ। এ জন্য অন্তর্বর্তী সরকার ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করেছে। তাছাড়া গত বছর কোটা বিরোধী আন্দোলনে ছাত্রলীগের হত্যা, দমন-নিপীড়নের জন্য ক্যাম্পাসে সাধারণ ছাত্ররা ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করেছিল। এখন আর ছাত্রলীগ নেই, তাই ছাত্র রাজনীতি বন্ধ রাখারও সুযোগ নেই। ছাত্র রাজনীতির গুণগত পরিবর্তনের জন্য আলোচনা হতে পারে।
ধোবাউড়া উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জালাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে স্মরণ সভায় উপস্থিত ছিলেন শহীদ হাফেজ মাজেদুল ইসলামের পিতা আবদুল মান্নান, ভাই জালাল উদ্দিন, জেলা বিএনপির সদস্য মফিজ উদ্দিন, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক আজহারুল ইসলাম কাজল, সদস্য সচিব আনিসুর রহমান মনিক, উত্তর জেলা মহিলা দলের সভানেত্রী তানজিল চৌধুরী লিলি, সাধারণ সম্পাদক হোসনে আরা নিলু ও উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মোয়াজ্জেম হোসেন খান লিটনসহ অনেকে।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন