টেকনাফে চাঞ্চল্যকর ইউনুস মেম্বার হত্যার দুই দিন পর তার সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. আলমকে প্রধান আসামি করে টেকনাফ মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা দায়ের করেন নিহত ইউনুস মেম্বারের স্ত্রী কহিনুর আক্তার। মামলা নং জি.আর-৭৯৯/২৫ইং।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ নভেম্বর সকালে টেকনাফের হ্নীলা রঙ্গিখালী গেইটের দক্ষিণ পাশে পুত্তাপোল ব্রিজের নিচে ভাসমান অবস্থায় খাল থেকে সাবরাং ইউপির সাবেক মেম্বার ও উপজেলা আরাফাত রহমান কোকো ক্রীড়া পরিষদের সভাপতি ইউনুস মেম্বারের মৃতদেহ উদ্ধার করে টেকনাফ মডেল থানা পুলিশ।
মামলায় প্রধান আসামি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে হ্নীলা রঙ্গিখালীর ছৈয়দুর রহমান ওরফে ছৈয়দ মেম্বারের পুত্র এবং উপজেলা আরাফাত রহমান কোকো ক্রীড়া পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলম ওরফে শাফুইয়াকে। এ ছাড়া অজ্ঞাত ৭-৮ জনকে আসামি করা হয়েছে।
টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু জাযেদ মোঃ নাজমুন নুর সাংবাদিকদের মামলাটি নথিভুক্ত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার বাদ জুহর নিহত ইউনুস মেম্বারের মরদেহ কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পোস্টমর্টেম শেষে গ্রামের বাড়ি সাবরাং ১ নং ওয়ার্ড চান্দলি পাড়ায় নিয়ে যাওয়া হয়। মরদেহ দেখা ও শ্রদ্ধা জানানোর জন্য হাজার হাজার শুভাকাঙ্ক্ষী উপস্থিত ছিলেন।
বাদ আছর টেকনাফ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে লক্ষাধিক মুসল্লির উপস্থিতিতে জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হ্য়। জানাজা শেষে পৌরসভার শাপলা চত্বরে হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ‘এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডে কোনো রাজনীতি, প্রতিহিংসা বা বাণিজ্য নয়, প্রকৃত অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।’


সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন