শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২৫, ১১:১৯ এএম

পাওনা টাকা আদায়ে ইনতাজ আলীর টানানো ব্যানার নামাল পুলিশ

নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২৫, ১১:১৯ এএম

ইনতাজ আলীর টানানো ব্যানার । ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

ইনতাজ আলীর টানানো ব্যানার । ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

ময়মনসিংহের নান্দাইলে পাওনা টাকা আদায়ের উদ্দেশ্যে দেনাদারদের নাম ও বকেয়া টাকার পরিমাণ উল্লেখ করে টানানো ব্যানার নামিয়ে দিয়েছে পুলিশ।

উপজেলার আচারগাঁও ইউনিয়নের টঙ্গীর চর গ্রামের বাসিন্দা ইনতাজ আলী (৬৫) গাছ কাটার শ্রমিক হিসেবে জীবিকা নির্বাহ করতেন। দীর্ঘ কর্মজীবনে বিভিন্ন গাছ ব্যবসায়ীর কাছ থেকে পাওনা টাকা আদায়ে ব্যর্থ হয়ে তিনি ব্যানার টাঙানোর সিদ্ধান্ত নেন। ব্যানারে ছয়জন পাওনাদারের নাম ও পাওনা টাকার পরিমাণ উল্লেখ করে সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) তিনি এটি ব্যানার টাঙান টঙ্গীর চর তিন রাস্তার মোড়ে।

ব্যানারে লেখা ছিল- ‘থানা থেকে অর্ডার, এই বিষয়টা এলাকাবাসীকে জানানোর জন্য। যদি এই টাকা না দেন তাহলে থানায় মামলা হবে।’ এতে দিলু ব্যাপারী (৬ হাজার), হুমায়ুন ব্যাপারী (২,৬০০), সুজন ব্যাপারী (৭৫০), নজরুল ব্যাপারী (২,৪০০), বারেক গাছের ব্যাপারী (১৩ হাজার) ও রতন গাছ কাটে (২০০ টাকা)- এমন ছয়জনের নাম ও পাওনার পরিমাণ উল্লেখ করা হয়।

বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়দের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। প্রশংসার পাশাপাশি ক্ষোভ প্রকাশ করেন দেনাদাররা। এ অবস্থায় বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) নান্দাইল মডেল থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ইনতাজ আলীকে বুঝিয়ে ব্যানারটি নামিয়ে নেয় এবং তাকে সঙ্গে নিয়ে দেনাদারদের কাছে টাকা চাওয়ার জন্য যান।

ইনতাজ আলী জানান, তিনি অসুস্থ ও বয়সের কারণে আর আগের মতো কাজ করতে পারেন না। বিভিন্ন জায়গায় কাজ করে বকেয়া পড়ে থাকায় তিনি থানায় গিয়ে অভিযোগ করতে চেয়েছিলেন। পুলিশের পরামর্শেই পরে তিনি ব্যানার লাগানোর সিদ্ধান্ত নেন।

স্থানীয় প্রবীণ হারুন অর রশিদ বলেন, ‘ইনতাজ আলী ছিলেন দক্ষ গাছ কাটার শ্রমিক। এখন বয়সের ভারে ন্যুব্জ। এ অবস্থায় তার পাওনা টাকা না দেওয়া খুবই অমানবিক।’

এ বিষয়ে নান্দাইল মডেল থানার ওসি খন্দকার জালাল উদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘ওই ব্যক্তি থানায় অভিযোগ করেননি। তিনি নিজ উদ্যোগে ব্যানার টাঙান। পরে আমরা গিয়ে ব্যানার সরিয়ে দেই এবং দেনাদারদের কাছে তাকে নিয়ে যাই। চাইলে তিনি লিখিত অভিযোগ করতে পারেন, আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!