বুধবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


নিজস্ব প্রতিবেদক, ময়মনসিংহ

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২৫, ০৮:৪৫ পিএম

মৃত্যুর আগে আবেগঘন বার্তা ফাইটার নুরুলের

নিজস্ব প্রতিবেদক, ময়মনসিংহ

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২৫, ০৮:৪৫ পিএম

ফায়ার ফাইটার নুরুল হুদ ও তার মামা সাব্বির কামাল। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

ফায়ার ফাইটার নুরুল হুদ ও তার মামা সাব্বির কামাল। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

গাজীপুরের টঙ্গীতে রাসায়নিকের গুদামের অগ্নিকাণ্ড নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে আহত ফায়ার ফাইটার নুরুল হুদা মৃত্যুর আগে দুই হাত উঁচু করে তার মামাকে বলেছিলেন, ‘মামা, ফি-আমানিল্লাহ। আমার জন্য দোয়া করো। আমার মা, বাবা ও স্ত্রী-সন্তানদের দেখে রেখো।’

এই হৃদয়বিদারক আকুতি জানান তিনি তার মামা সাব্বির কামালকে। নুরুল হুদার মৃত্যুর খবরে ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে তার গ্রামের বাড়িতে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। পরিবার, স্বজন ও এলাকাবাসী কেউই এই বেদনাকে মেনে নিতে পারছেন না।

বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টা ৪০ মিনিটে ঢাকার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন ফায়ার ফাইটার নুরুল হুদা।

তার গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও উপজেলার সালটিয়া ইউনিয়নের ধামাইল গ্রামে। তার মৃত্যুর খবর পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গেই পরিবারের সদস্যদের মাঝে শুরু হয় আহাজারি। পুরো গ্রামে নেমে আসে শোকের মাতম।

নুরুল হুদা ২০০৭ সালের ২৯ মার্চ ফায়ার সার্ভিসে ফায়ার ফাইটার পদে যোগ দেন। মৃত্যুকালে তিনি মা-বাবা, অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী, এক মেয়ে ও এক ছেলেকে রেখে গেছেন।

তার বাবা আবুল মুনসুর একজন ব্যবসায়ী। স্ত্রী আসমা খাতুন গৃহিণী। তাদের মেয়ে নুসরাত নেহা (১০) গফরগাঁও ইসলামিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থী এবং ছেলে আহসান আবিদ (৪)।

তার মামা গফরগাঁও মহিলা ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক সাব্বির কামাল বলেন, ‘দেশমাতৃকার সোনার ছেলে নুরুল হুদা অন্যের জান-মাল রক্ষা করতে গিয়ে নিজের জীবনটাই উৎসর্গ করল। জাতীয় বীর নুরুল হুদার প্রতি রইল হাজার সালাম।’

নুরুল হুদার বাবা আব্দুল মনসুর কাঁপা কাঁপা কণ্ঠে বলেন, ‘বড় পুত মইরা গেছে কারেন্টে, ছোটডা পুইড়া গেল আগুনে। এখন আল্লাহ আমারে আর কীসের পরীক্ষা দিবো? হাঁটতে পারি না, ল্যাংড়া হইয়া গেছি। নাতিডা কয়-বাবা মজা লইয়া আইতেছে। ও জানে না, ওর বাবা আর কোনোদিন ফিরবে না।’

নুরুল হুদার বড় বোন রোকসানা বেগম বলেন, ‘এই ভাইটা আমাদের বাবা-মায়ের শেষ সম্বল ছিল। বড় ভাই মরার পর ছোট ভাইটাকে ঘিরেই সব স্বপ্ন ছিল। এখন সেই ভাইটিও আর নেই। ভাইয়ের স্ত্রী পোয়াতি, আমি তাকে কীভাবে বলব ভাইটার অবস্থা?’

নুরুল হুদার নামাজে জানাজা আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় গফরগাঁওয়ের গ্রামের বাড়িতে অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান তার মামা সাব্বির কামাল।

Link copied!