ময়মনসিংহের গৌরীপুরে পূর্বশত্রুতার জেরে ৩ কৃষকের ৩ একর জমিতে আগাছানাশক ওষুধ দিয়ে খেতের ধান মেরে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে প্রায় ১ লাখ ৭০ হাজার টাকার ধান ও ধানের খড় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার অচিন্তপুর ইউনিয়নের ছিলিমপুর গ্রামে। এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ছিলিমপুর গ্রামের মৃত হাতেম আলী ফকিরের পুত্র মো. আব্দুল কদ্দুছ।
ঘটনার প্রতিকার চেয়ে কৃষক আব্দুল কদ্দুছ রবিবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা কৃষি অফিসার ও গৌরীপুর থানায় অভিযোগ দায়েরের প্রেক্ষিতে গৌরীপুর থানার ওসি মো. দিদারুল ইসলাম সোমবার (২৭ অক্টোবর) জানান, কৃষকের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। আবেদনটি আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
গৌরীপুর থানার এসআই মাসুদুর রহমান জানান, ধানখেতে বিষাক্ত ওষুধ দেওয়ায় ধানগুলো ঝলসে গেছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার নিলুফার আনজুম জলি জানায়, ওই ধানের খেতে কোনো রোগবালাই বা কীট-পতঙ্গের আক্রমণ নেই। কৃষক বলেছে, ঘাস মারার ওষুধ দিয়ে তার ধানখেতের ফসল নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।
কৃষক মো. আব্দুল কদ্দুছ জানান, গত সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে তার ভাতিজা মো. রুবেল মিয়া ও আরও তিনজন তাদের জমি মেশিন দিয়ে কী যেন ছিটিয়েছে। লাইটের আলো দেখে দৌড়ে পালিয়ে যায়। ৩/৪ দিন যাওয়ার পর আস্তে আস্তে ধানের সবুজ খেতে কালচে ও হলুদাভ রং ধারণ করতে থাকে। স্থানীয় কৃষকরা এসে দেখে বলেছে, আগাছানাশক দিয়ে তার ধানের খেতের ফসল মেরে ফেলা হয়েছে। দিন যতই যাচ্ছে, সবুজ ধানের খেত ততই মনে হচ্ছে পুড়ে যাচ্ছে। এ ওষুধে আব্দুল কদ্দুছের ১৪০ শতাংশ, খায়রুল ইসলামের ৮০ শতাংশ ও গোলাম মোস্তফার ৮০ শতাংশ জমির ধান ও ধানের খড় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়াও বুধবার রাতে গোয়ালঘর থেকে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা মূল্যের ২টি গরু চুরি হয়েছে। তিনি আরও জানান, রুবেল মিয়া হলো তার ভাতিজা। দীর্ঘদিন যাবৎ তার সাথে পারিবারিক ও জমিসংক্রান্ত বিরোধ চলছে।
এ ঘটনায় রুবেল মিয়াকে মুঠোফোনে কল দিলেও পাওয়া যায়নি। রুবেলের মা মোছা. রুকিয়া খাতুন জানান, দেড় মাস যাবৎ রুবেল মিয়া বাড়িতে আসে না। তাহলে খেতে এ ওষুধ দিল কে? তবে তাদের সাথে জমিসংক্রান্ত বিরোধ আছে। আমার জমি তারা ভোগদখল করে আছে, আমিও তাদের জমিতে আছি।

সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন