মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৮, ২০২৫, ০৫:৩৪ পিএম

ঘুষ নেওয়ার ভিডিও ফাঁস, অফিস যেন প্রকৌশলীর ‘ব্যক্তিগত টোল প্লাজা’

নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৮, ২০২৫, ০৫:৩৪ পিএম

ছবি- সংগৃহীত

ছবি- সংগৃহীত

ময়মনসিংহের নান্দাইলে উপসহকারী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলামের ঘুষ নেওয়ার একটি ভিডিও ফাঁস হয়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, শফিকুল ইসলামের ফাইলের ভেতরে লুকানো টাকার বান্ডিল তুলে নিয়ে কোনো কথা না বলেই ড্রয়ারে ঢুকিয়ে দেন। কাজের মান, কাগজপত্র—কিছুই আর গুরুত্বপূর্ণ নয়, টাকা পেলেই সব ‘ওকে’। দুর্নীতির এমন প্রকাশ্য প্রদর্শনীতে নান্দাইলবাসী ক্ষুব্ধ, লজ্জিত ও বিস্মিত।

ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর পুরো নান্দাইলে এলজিইডির কার্যক্রম নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। স্থানীয়দের দাবি— এ ধরনের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তারা প্রশাসনের মুখে চপেটাঘাত। একজন কর্মকর্তার এত বছরের দৌরাত্ম্য প্রশাসনের নীরবতাকে আরও প্রশ্নবিদ্ধ করছে।

উপজেলা এলজিইডি অফিস যেন উপসহকারী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলামের ব্যক্তিগত টোল প্লাজা। এখানে কাজ পেতে বা বিল তুলতে হলে ‘ট্যাক্স’ নামে ঘুষ না দিলে কোনো ফাইল নড়েও না চড়েও না— এমন অভিযোগ শুধু আজকের নয়, বছরের পর বছর চলা এক নগ্ন সত্য।

এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই উপজেলায় বসে শফিকুল গড়ে তুলেছেন দুর্নীতির রাজত্ব। প্রশাসন, দল, সরকার-কোনো কিছুকেই তোয়াক্কা না করে প্রকাশ্যে ঘুষ বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। ঠিকাদারদের অভিযোগ— শফিকুলের সামনে ফাইল মানেই টাকা; টাকা ছাড়া তার টেবিল পর্যন্ত ফাইল উঠানোর সাহস কারও নেই।

গ্রামীণ সড়কের পিচ ঢালাই (কার্পেটিং) কাজের সুযোগ নিয়ে তিনি দীর্ঘদিন ধরে ঠিকাদারদের জিম্মি করে আসছেন। কাজ শেষে বিল নিতে হবে এই দুর্বলতাকেই অস্ত্র বানিয়ে প্রকৌশলী শফিকুল খোলামেলাভাবে চাঁদাবাজির মতো ঘুষ আদায় করেন। ঠিকাদাররা বাধ্য কারণ টাকা ছাড়া ফাইল ‘ফিটনেস’ পায় না, আবার টাকা দিলেই অবৈধ কাজও সেকেন্ডের মধ্যে বৈধ হয়ে যায়।

ভিডিও ফাঁসের বিষয়ে জানতে উপসহকারী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলামকে অফিসে গিয়ে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তার ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বরে ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) আব্দুল মালেক বিশ্বাস বলেন, আমি ভিডিওটি দেখেছি। তবে শফিকুর রহমান দাবি করেছেন ভিডিওটি তিন বছর আগের। তিন বছর আগে কী ঘুষ নেওয়া যেত?— এমন প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হবে।

নান্দাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফাতেমা জান্নাত মুঠোফোনে বলেন, এ বিষয়ে উপসহকারী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!