নওগাঁর মান্দা উপজেলায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) বা এসিল্যান্ড পদটি ছয় মাস ধরে শূন্য পড়ে আছে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন ভূমি অফিসে সেবাপ্রত্যাশী সাধারণ মানুষ। জমা দেওয়া ফাইল দিনের পর দিন পড়ে থাকলেও সঠিক সময়ে মিলছে না সমাধান। অনেকেই দীর্ঘ অপেক্ষার পর সেবা না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।
ভূমি অফিস সূত্রে জানা গেছে, পূর্বের এসিল্যান্ড ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শারমিন জাহান লুনা গত ১৩ মার্চ বদলি হয়ে অন্যত্র যোগ দেন। এরপর থেকে পদটি ফাঁকা রয়েছে। বর্তমানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জান্নাত আখতার জাহান সাথী অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন।
এসিল্যান্ড না থাকায় নামজারি, খাজনা আদায়, জমির পরিমাণ নির্ধারণ, খতিয়ান সংশোধন ও জমি রেজিস্ট্রেশনসহ গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো পিছিয়ে পড়েছে। এতে একদিকে ভূমি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ওপর চাপ বাড়ছে, অন্যদিকে সেবা নিতে এসে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ।
ভুক্তভোগী কয়েকজন জানান, নামজারির জন্য আবেদন করেও মাসের পর মাস ঘুরতে হচ্ছে। অনলাইন সিস্টেমে নামজারি ২৮ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তির নিয়ম থাকলেও এসিল্যান্ড না থাকায় তা সম্ভব হচ্ছে না। এতে সময়, অর্থ ও শ্রম—তিনদিক থেকেই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন তারা।
উপজেলার আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা, মোবাইল কোর্ট পরিচালনাসহ বিভিন্ন দায়িত্বেও এসিল্যান্ডের অনুপস্থিতি সমস্যা তৈরি করছে।
এ বিষয়ে ইউএনও জান্নাত আখতার জাহান সাথী বলেন, ‘এসিল্যান্ড পদটি দীর্ঘদিন খালি রয়েছে। বিষয়টি জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে বিভাগীয় কমিশনারকে জানানো হয়েছে। আশা করছি, খুব শিগগিরই এ পদে নতুন জনবল পদায়ন হবে।’