নারায়ণগঞ্জের বন্দর এলাকার মুরাদপুরে পূর্ব শত্রুতার কারণে মনিরুজ্জামান মনুকে (মনু) গুলি করে ও পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় আসামি মিঠু ও টিটু গংরা কারাগার থেকে জামিনে বের হয়ে বাদী সাবিনা বেগম ও নিহতের স্বজনদের হত্যার হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
রোববার (১০ আগস্ট) নিহত মনিরুজ্জামান মনুর ভাগনি ময়না বেগম বাদী হয়ে বন্দর থানায় জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে ওই আসামিদের বিরুদ্ধে একটি জিডি করেছেন।
ময়না বেগম জিডিতে উল্লেখ করেন, ‘গত ২০২৪ সালের ৭ জুন আমার মামা মনিরুজ্জামান ওরফে মনুকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। আমার মামি সাবিনা বেগম বাদী হয়ে মামলা করেন। উক্ত মামলার বিবাদী শীর্ষ সন্ত্রাসী টিটু, মিঠু, ফারুক, মনির, নুরুল, সামসুলসহ তাদের সহযোগীরা জামিনে বের হয়ে আমাদের পরিবারের ওপর চড়াও হয়েছে।’
অভিযোগে বাদী আরও উল্লেখ করেন, ‘আমাদের মামলা তুলে নেওয়ার জন্য তারা বিভিন্নভাবে আদালত চত্বরে হুমকি দিচ্ছে এবং মারমুখী আচরণ করছে। এমনকি প্রাণ নাশের হুমকি প্রদান করছে। এর ফলে আমরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।’
জানা গেছে, সোনারগাঁ কুতুবপুর এলাকায় মামির জানাজা শেষে শুক্রবার সকাল ১১টায় মনিরুজ্জামান মনু মদনপুর মুরাদপুরের নিজ বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। এ সময় একই এলাকার নুরা মিয়ার তিন ছেলে—মিঠু, টিটু ও মনির—এর নেতৃত্বে ১০-১২ জনের একটি সন্ত্রাসী বাহিনী তার ঘরে প্রবেশ করে প্রথমে মাথায় গুলি এবং কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে পরিবারের লোকজন তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান, কিন্তু দুপুর ২টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধ সংগঠন ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা মনির হোসেন এবং সাবেক এমপি সেলিম ওসমানের দোসর ফারুক প্রধানসহ তাদের সহযোগীরা এলাকায় বেপরোয়া হয়ে ওঠে।
এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নিহত মনুর ভাই নুরুজ্জামান নুরা ও বাবুল আক্তার, বড় বোন নিলুফা তাদের হাতে খুন হন। এরপর মনু কাপাসিয়া বিয়ে করে শ্বশুরবাড়িতে বসবাস করতেন।
বৃহস্পতিবার মনু পার্শ্ববর্তী সোনারগাঁ উপজেলার কাঁচপুর কুতুবপুর এলাকায় তার মামি মারা যাওয়ার খবর পেয়ে ওই বাড়িতে যান। শুক্রবার সকালে মনু নিজ বাড়ি মদনপুরস্থ মুরাদপুরে পৌঁছালে প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসীরা তাকে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করে।