দুর্ঘটনার খবর শুনে লাইভ করতে ছুটে যান রিপোর্টার রাহিদ। ঘটনাস্থলে গিয়ে লাইভ চলাকালীন দেখতে পান, আহত ব্যক্তি তারই বাবা। সঙ্গে সঙ্গে লাইভ বন্ধ করে দেন তিনি। পরে বাবাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার জন্য রওনা দেন এই তরুণ রিপোর্টার। কিন্তু পথিমধ্যেই তার বাবার মৃত্যু হয়।
রাহিদ নাটোরের স্থানীয় অনলাইন পোর্টাল ‘সংবাদ শৈলী’র রিপোর্টার। তার বাবার নাম মজিবর রহমান (৬০)। তিনি নাটোর সদর উপজেলার হয়বতপুর এলাকার শুকুর আলীর ছেলে।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) সকালে নাটোরের হরিশপুর বাইপাস চত্বরে ঘটনাটি ঘটে। ওই সময় একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও যাত্রীবাহী বাসের সংঘর্ষে রাহিদের বাবা আহত হন।
নিহতের ছেলে রাহিদ জানান, তার বাবা নাটোর শহরের নিচাবাজারে সবজি বিক্রি করতেন। বৃহস্পতিবার সকালে একটি সড়ক দুর্ঘটনার খবর পেয়ে লাইভ করতে হরিশপুর বাইপাস চত্বরে পৌঁছে লাইভ শুরু করেন। ওই সময় তিনি দেখেন, তার বাবা রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন।
তিনি আরও জানান, পরে লাইভ বন্ধ করে বাবাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। এর আগে সকালে রিকশাভ্যানে করে যাওয়ার সময় অটোরিকশা ও বাসের সংঘর্ষে গুরুতর আহত হন তিনি।
নাটোর সদর থানার ওসি মাহাবুর রহমান জানান, দুর্ঘটনাকবলিত যানবাহন জব্দ করা হয়েছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।