লোভ-লালসার ঊর্ধ্বে উঠে সততার অনন্য এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে নাটোরের নলডাঙ্গার রিয়াজুল ইসলাম। তিনি উপজেলার ব্রহ্মপুর ইউনিয়নের আক্কাস আলীর ছেলে।
রাস্তায় কুড়িয়ে পাওয়া ব্যাগে থাকা ২০ লাখ টাকার চেক ও গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্টসহ ব্যাগ ফেরত দিয়ে প্রশংসার জোয়ারে ভাসছেন যমুনা ইলেকট্রনিকের জোনাল ম্যানেজার ও নলডাঙ্গার ব্রহ্মপুর ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম, তিনি পাবনায় কর্মরত।
ঘটনাটি ঘটেছে গত বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) সন্ধ্যা ৬টায় নাটোর-ঢাকা মহাসড়কের কাছিকাটা এলাকায়। মোটরসাইকেলের চালক দ্রুতগতিতে নাটোরের দিকে যাচ্ছিলেন। তখন মোটরসাইকেল থেকে ব্যাগটি ছিটকে পরে যায়। রিয়াজুল ইসলাম ব্যাগ পেয়ে তাকে ডাকে ও মোটরসাইকেল নিয়ে তার পেছনে ছুটে। রাত হওয়ার কারণে তাকে আর পাওয়া যায়নি।
পরে ব্যাগে থাকা কাগজে লেখা ঠিকানা পাওয়া যায়। সেই ঠিকানা অনুযায়ী, ব্যাগটি রাজশাহীর বাঘার আব্দুল হাকিমের। তিনি নাসির গ্রুপের ফল্ট গ্লাস গ্রুপের সহকারী ম্যানেজার হিসেবে টাঙ্গাইলে কর্মরত।
শনিবার (৩০ আগস্ট) নলডাঙ্গা থানার ওসি রফিকুল ইসলামের মাধ্যমে দুপুরে প্রকৃত মালিকের কাছে ২০ লাখ টাকার চেক, গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্টসহ ব্যাগ হস্তান্তর করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বিবিসিএফের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার সম্পাদক সাংবাদিক ফজলে রাব্বী, সাংবাদিক রাশেদ আলম, সান্টু ইসলাম, উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি আব্দুল্লাহ বাকী সুমন, আব্দুল মোমিন প্রমুখ।
হারানো ব্যাগ ফেরত পেয়ে উচ্ছ্বসিত আব্দুল হাকিম বলেন, বর্তমান সময়ে রিয়াজুল ইসলামের মতো লোকের বেশ অভাব রয়েছে। তিনি সততার এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।
সাংবাদিক রাশেদ আলম, উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি আব্দুল্লাহ বাকী সুমন, আব্দুল মোমিন বলেন, রিয়াজুল ইসলাম যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তা সমাজে বিরল। তার এ সততা শুধু নাটোর নয়, সারা দেশের মানুষের জন্য এক শিক্ষণীয় ঘটনা হয়ে থাকবে। রাষ্ট্রের উচিত এসব সততাসম্পন্ন মানুষকে পুরস্কৃত করা, তাহলে তারা সমাজের জন্য আরও ভালো কাজ করতে উৎসাহী হবে।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন