প্রায় ২০ বছর আগে যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ করতে নির্মাণ করা হয় সেতু। তবে নির্মাণের কয়েক মাস পরই পাহাড়ি ঢলে সেতুর সংযোগ সড়ক ভেঙে যায়। দীর্ঘ দুই দশক পার হলেও তা আর সংস্কারের উদ্যোগ নেয়নি কেউ। ফলে অন্তত সাতটি গ্রামের প্রায় ২০ হাজার মানুষের কাজে আসছে না সেতুটি।
বর্তমানে সেতুটি জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। সেতুটি নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার লেংগুরা ইউনিয়নের দক্ষিণ তারানগর গ্রামের একটি খালের ওপর নির্মিত।
স্থানীয়রা জানান, বেসরকারি সংস্থা ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ প্রায় ২০ বছর আগে সেতুটি নির্মাণ করে দেয়। লেংগুরা ইউনিয়নের গৌরীপুর, তারানগর, শিবপুর, লেংগুরা ও উদাপাড়া বালুচরাসহ অন্তত সাত গ্রামের মানুষ এই সেতুর ওপর দিয়ে চলাচল করে থাকে।
এসব গ্রামের বাসিন্দাদের উপজেলা সদরসহ শহরে যেতে হলে সেতুটি ব্যবহার করতেই হয়। প্রতিদিন শতাধিক শিক্ষার্থীও এই পথ দিয়ে স্কুল-কলেজে যাতায়াত করে। শুষ্ক মৌসুমে কোনোরকম চলাচল করা গেলেও বর্ষাকালে ভোগান্তির শেষ থাকে না।
সরেজমিনে দেখা যায়, সেতুর পশ্চিম দিকে কোনো সংযোগ সড়ক নেই। কিছু স্থানে রড বের হয়ে গেছে। মানুষ ধানখেতের ওপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে নিচ দিয়ে চলাচল করছে। সেতুর বিভিন্ন অংশে জমে গেছে শেওলা।
স্থানীয় কৃষক কামাল মিয়া বলেন, “সেতুতে ওঠার কোনো সড়ক নেই। বর্ষায় বাঁশের সাঁকো দিলেও পাহাড়ি ঢলে তা ভেঙে যায়। তখন ধানখেতের ওপর দিয়েই চলতে হয়। মাঝে মাঝে লোকজন এসে মাপ-যোগ করলেও কাজের আর অগ্রগতি দেখা যায় না।”
এ বিষয়ে কলমাকান্দা উপজেলা এলজিইডির উপসহকারী প্রকৌশলী মো. ইমরান হোসেন বলেন, “নতুন সেতু নির্মাণের জন্য প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে দ্রুতই কাজ শুরু করা হবে।”


