ঢাকা মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর, ২০২৫

কালিয়াকৈরে স্ত্রীর পরকীয়ার জেরে স্বামীর রহস্যজনক মৃত্যু

কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: নভেম্বর ১১, ২০২৫, ০৩:১৭ পিএম
ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে শাহজাহানের ছেলে খোকন (২৮) রহস্যজনকভাবে মারা গেছেন। তবে পরিবারের অভিযোগ পরকিয়ার কারণেই তাকে হত্যা করা হয়েছে। সোমবার (১০ নভেম্বর) রাত দেড়টার দিকে উপজেলার পল্লী বিদ্যুৎ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত হয়েছেন, উপজেলার চাপাইর ইউনিয়নের পাইকপাড়া এলাকার শাহজাহানের ছেলে খোকন (২৮)। তিনি স্থানীয় ইকোটেক্স কারখানায় চাকরি করতেন। নিহত খোকন স্থানীয় ইকোটেক্স কারখানায় চাকরি করতেন। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে খোকনের স্ত্রী তাজিনের বাড়ি উপজেলার ডাইনকিনি এলাকার মোস্তফার পরিবারে।

মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) নিহত পরিবারের সদস্যরা থানায় উপস্থিত হয়ে অভিযোগ করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন পুলিশ।

পুলিশ ও নিহত পরিবারের তথ্য অনুযায়ী, খোকন ও তাজিন প্রায় ১০ বছর আগে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। বিয়ের এক বছর পর তাদের ঘরে জন্ম হয় একটি পুত্র সন্তান। বিবাহের পর থেকেই দম্পতির মধ্যে নিয়মিত ঝগড়া চলত।

পরিবার জানায়, খোকন কিছুদিন ধরে স্ত্রীর আচরণ সন্দেহ করলে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পায়। খোকন ইকোটেক্সে চাকরি ত্যাগ করলে স্ত্রী আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠে।

পরে জানা যায়, তাজিন স্থানীয় যুবক ‘উৎস’ নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে পরকিয়ায় জড়িয়ে পড়েছেন। খোকন বিষয়টি জানালে স্ত্রীর সঙ্গে প্রতিদিনের ঝগড়া লেগেই থাকত।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, সোমবার রাতেও দম্পতির মধ্যে মারামারি হয়। খোকনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে গাজীপুর তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর পরামর্শ দেন।

তবে স্ত্রী ও পরিবারের লোকজন খোকনকে মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। কুমুদিনী হাসপাতালে পৌঁছালে কর্তব্যরত ডাক্তার তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতের পরিবার জানায়, রাতে তাজিন খোকনের পরিবারের সদস্যদের ফোন করে জানায় যে, খোকন মির্জাপুর হাসপাতালে ভর্তি আছে। বর্তমানে নিহতের দেহ কুমুদিনী হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। পরিবার থানায় অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছে। অভিযোগ দায়েরের পর পুলিশ দেহটি পরিবারের কাছে হস্তান্তরের ব্যবস্থা করবে।

উপজেলা মানবাধিকার সংস্থার সভাপতি ইমান আলী বলেন, তাজিন মাঝে মাঝে অফিসে আসে এবং তার চলাফেরা আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য ছিল না। তাই আমরা তাকে সংস্থা থেকে বাদ দিয়েছি।

কালিয়াকৈর থানার তদন্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাফর জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করেছে। তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।