শনিবার, ০৪ অক্টোবর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: অক্টোবর ৪, ২০২৫, ০২:৪৯ পিএম

মাছ সংকটে শুঁটকিপল্লি, বেকার ৫ শতাধিক শ্রমিক

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: অক্টোবর ৪, ২০২৫, ০২:৪৯ পিএম

শুঁটকির চাতাল। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

শুঁটকির চাতাল। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

দেশের বৃহত্তম মিঠাপানির জলাভূমি চলনবিলে মাছের সংকট দেখা দেওয়ায় হুমকির মুখে পড়েছে শুঁটকিশিল্প। মাছের অভাবে সিরাজগঞ্জ, পাবনা ও নাটোর জেলার বিস্তীর্ণ এলাকায় শুঁটকি উৎপাদনে স্থবিরতা নেমে এসেছে। ফলে এ অঞ্চলের শুঁটকি চাতালে কর্মরত পাঁচ শতাধিক নারী-পুরুষ শ্রমিক বেকার হওয়ার শঙ্কায় রয়েছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় ১২০ বর্গকিলোমিটার আয়তনের ২২টি জলাশয় ও ১৬টি নদীর সমন্বয়ে গঠিত চলনবিল তিন জেলার ৯টি উপজেলার মানুষকে কর্মসংস্থান দিয়েছে। ভোর থেকেই শত শত নারী-পুরুষ লবণ মাখানো, মাছ শুকানো, উল্টে-পাল্টে দেওয়া, বাছাইসহ নানা কাজে ব্যস্ত থাকেন। এখানকার শুঁটকি সৈয়দপুর, নীলফামারী, রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, মালয়েশিয়া, সৌদি আরব, ওমান, কাতারসহ ২৫টিরও বেশি দেশে রপ্তানি হয়।

তাড়াশ উপজেলার ঘরগ্রামের শুঁটকি চাতাল মালিক আবু বক্কার জানান, সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত মাছ সংগ্রহ মৌসুম চলে। গত বছর প্রায় ৮০০ টন শুঁটকি উৎপাদন হয়েছিল। এ বছর লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ১ হাজার টন। কিন্তু মাছের সংকট থাকায় উৎপাদন অনেক কম হবে।

শ্রমিক আল্পনা বেগম বলেন, প্রতিদিন নারী শ্রমিকরা ১৫০ টাকা আর পুরুষরা ৩০০ টাকা মজুরি পান। তবে এ মৌসুমে মাছ না থাকায় অনেকেই কাজ হারানোর ভয়ে রয়েছেন।

চাতাল মালিক আলতাব ও দেলবার হোসেন অভিযোগ করে বলেন, প্রভাবশালীরা বাদাই জাল দিয়ে পোনা মাছ নিধন করছে। পাশাপাশি খরা মৌসুমে পানি সেচ দিয়ে মাছ ধরার কারণে বিলের মাছ দিন দিন কমছে। এতে খরচ বাড়লেও উৎপাদন কমে যাওয়ায় ব্যবসায়ীদের লোকসান হচ্ছে।

হাটিকুমরুল মহিষলুটি মৎস্য আড়তদার গোলাম কিবরিয়া জানান, মাছ সংকটের কারণে অনেক চাতাল ইতোমধ্যেই বন্ধ হয়ে গেছে। বাকিগুলোও বন্ধ হওয়ার পথে। এতে প্রায় পাঁচ শতাধিক নারী-পুরুষ শ্রমিক বেকার হয়ে পড়বেন।

তাড়াশ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. মোকারম হোসেন বলেন, চলনবিলের শুঁটকির সুনাম দেশ-বিদেশে। তবে মা মাছ নিধন, কীটনাশক ব্যবহার ও প্রজননক্ষেত্র ধ্বংস হওয়ায় মাছের উৎপাদন কমে গেছে। এ বছর কয়েক দফায় পানি আসা ও দ্রুত শুকিয়ে যাওয়ায় সংকট আরও বেড়েছে। গত বছর এই উপজেলায় ১৪৩ টন শুঁটকি উৎপাদন হলেও এবার ৩০-৪০ টন কম উৎপাদন হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!