জামালপুরের মাদারগঞ্জে ঝিনাই নদীতে গোসল করতে গিয়ে পানিতে নিখোঁজ সবশেষ শিশু বৈশাখীর (১০) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। অবশেষে এ হৃদয়বিদারক ঘটনায় নিখোঁজ ৫ শিশুর মরদেহের সন্ধান মিলল।
রোববার (২ নভেম্বর) সকাল ৭টার দিকে উপজেলার সিধুলি ইউনিয়নের চরভাটিয়ানী ও হরিপুর গ্রামের সীমান্ত এলাকায় ঝিনাই নদী থেকে বৈশাখীর ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করে তার পরিবারের লোকজন।
বৈশাখী পার্শ্ববর্তী শেরপুর জেলার নকলা উপজেলার টাংগালিয়া গ্রামের হোসেন আলীর মেয়ে। সম্প্রতি সে চরভাটিয়ানী গ্রামে নানা চাঁন মিয়ার বাড়িতে বেড়াতে এসেছিল। এ নিয়ে ঝিনাই নদীতে নিখোঁজ পাঁচ শিশুর সবারই মরদেহ উদ্ধার করা হলো।
এর আগে গত শুক্রবার বিকেলে ঝিনাই নদীর আনার সরকার বাড়ির ঘাটে গোসলে নেমে ডুবে যায় পাঁচ শিশু। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল উদ্ধার অভিযান শুরু করে এবং ওইদিন সন্ধ্যার মধ্যে সহোদর ভাই-বোনসহ তিন শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে।
তারা হলো, মাদারগঞ্জের চর ভাটিয়ানি মধ্যপাড়া গ্রামের দুদু মিয়ার দুই সন্তান পলি আক্তার (১২) ও আবু হোসেন (০৮) ও সরিষাবাড়ী উপজেলার বাউশী গ্রামের নূর ইসলামের মেয়ে সায়েবা আক্তার (০৮)।
এরপর দ্বিতীয় দিনের উদ্ধার অভিযানে শনিবার সকালে আরও এক শিশু চর ভাটিয়ানি আমতলী গ্রামের আজাদ মিয়ার মেয়ে কুলসুমের (৮) মরদেহ উদ্ধার করে ডুবুরি দল। নিখোঁজ রয়ে যায় শুধু শিশু বৈশাখী।
মাদারগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের ওয়ারহাউস ইন্সপেক্টর মো. দেলোয়ার হোসেন জানান, রোববার সকাল ৭টার দিকে নিখোঁজ শিশু বৈশাখীর পরিবারের লোকজন ঝিনাই নদীর কিনারা থেকে তার ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করেন।


সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন