ঢাকা সোমবার, ০১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

মায়ের সহায়তায় মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ সৎ বাবার বিরুদ্ধে

নীলফামারী প্রতিনিধি
প্রকাশিত: আগস্ট ৩১, ২০২৫, ০৯:৪৫ এএম
আটক সৎ বাবা ও মা। ছবি- সংগৃহীত

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে ১০ মাস ধরে আটকে রেখে ১২ বছর বয়সি এক মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে তার সৎ বাবার বিরুদ্ধে। এ অপরাধে সহযোগিতা করার অভিযোগে কিশোরীর মাকেও আটক করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে অভিযুক্ত সৎ বাবা রশিদুল ইসলাম (৪০) এবং মা আঁখি আক্তার নাসরিনকে (২৮) গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ভুক্তভোগী ও মামলার সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগীর মা নাসরিন চার বছর আগে প্রথম স্বামীকে ছেড়ে দুই সন্তানসহ রশিদুল ইসলামকে বিয়ে করেন। রশিদুল তার প্রথম স্ত্রী থাকায় নাসরিনকে তার সন্তানদের নিয়ে উপজেলা ব্র্যাক অফিসের পাশে একটি ভাড়া বাসায় রাখতেন। এরপর থেকেই রশিদুল ভুক্তভোগী ১২ বছর বয়সি মেয়েকে অনৈতিক প্রস্তাব দিতে শুরু করেন। প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তিনি তার মা ও মেয়েকে মারধর করতেন।

মামলার অভিযোগ অনুযায়ী, জোরপূর্বক গত ১০ মাস ধরে রশিদুল ভুক্তভোগীকে আটকে রেখে ধর্ষণ করে আসছিলেন। একপর্যায়ে মেয়েটি দুই মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। তখন রশিদুল ও তার স্ত্রী গর্ভপাত করানোর জন্য তাকে ওষুধ সেবন করান। এর ফলে সে অসুস্থ হয়ে যায়। হাসপাতালে চিকিৎসা করানোর পরেও রশিদুল আবারও তাকে ধর্ষণ করেন।

শুক্রবার (২৯ আগস্ট) ভুক্তভোগীর মামার মনে সন্দেহ হলে তিনি ভাগ্নিকে তার নিজ বাড়িতে নিয়ে যান। সেখানেই মেয়েটি তার মামাকে সব খুলে বললে তিনি থানায় এসে দুজনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ দ্রুত অভিযান চালিয়ে দুজনকে আটক করে।

মামলার বাদী বলেন, ‘আমার ভাগ্নিকে ১০ মাস ধরে আটকে রেখে তার সৎ বাবা ধর্ষণ করেছে এবং তার মা এতে সহায়তা করেছে। পাঁচ মাস আগে সে অন্তঃসত্ত্বা হলে তাকে ওষুধ খাইয়ে গর্ভপাত করানো হয়। আমরা চাই এই অপরাধীরা যেন কঠিন বিচার পায়।’

এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জ থানার ওসি আশরাফুল ইসলাম জানান, ‘মায়ের সহায়তায় সৎ বাবা কর্তৃক এক শিশুকে ১০ মাস ধরে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’