২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা নিতে আসা রোগীদের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগে অভিযান চালিয়ে ৭ দালালকে আটক করেছে র্যাব। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাদের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মেহরাব হোসাইন এবং র্যাব-১১, সিপিসি-৩ এর কোম্পানি কমান্ডার মিঠুন কুমার কুন্ডুর নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন: দালাল মিলন (৩৫), হারুন (৩৪) ও সজিব (২৫)—১৫ দিন করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড; রতন (৩৮) ৩০ দিন; আকরাম হোসেন (২৫)—৭ দিনের কারাদণ্ড ও ৫০ টাকা জরিমানা; স্বপন (৪৪) এবং মাসুদ (৪৫)—১৫ দিনের কারাদণ্ড ও ৫০ টাকা জরিমানা।
অভিযান সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের ভেতরে ও বাইরে একটি দালালচক্র রোগীদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করে আসছিল। তারা সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা নিতে আসা রোগীদের প্রলোভন দেখিয়ে বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যেত। এর বিনিময়ে তারা ওই হাসপাতালগুলো থেকে মোটা অঙ্কের কমিশন পেত।
এ ছাড়াও, সরকারি হাসপাতালে আসা রোগীদের বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষার কথা বলে টাকা আদায় করত তারা। গোপন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে দুপুরে অভিযান চালিয়ে হাসপাতালের বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের আটক করা হয়। পরে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে তাদের সাজা প্রদান করা হয়।
নোয়াখালী জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মেহরাব হোসাইন বলেন, হাসপাতালে দালালদের দৌরাত্ম্যে রোগীরা সঠিক সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছিলেন। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
র্যাব-১১, সিপিসি-৩-এর কোম্পানি কমান্ডার মিঠুন কুমার কুন্ডু বলেন, রোগীদের সঠিক চিকিৎসাসেবা নিশ্চিতে ৭ দালালকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাদের সাজা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন