চিলাদি শিক্ষা উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ২০তম মেধা বৃত্তি পরীক্ষা-২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত শুক্রবার ও শনিবার দুইদিনব্যাপী নোয়াখালী সেনবাগের ছাতারপাইয়ার—চিলাদি মহিলা আলিম মাদ্রাসা ও চিলাদি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়—দুইটি কেন্দ্রে সকাল ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত এই বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রথম দিনের বৃত্তি পরীক্ষায় সেনবাগ ও সোনাইমুড়ী এবং বেগমগঞ্জ উপজেলা ছাড়া পাশ্ববর্তী কুমিল্লা জেলার মনোহরগঞ্জ ও নাঙ্গলকোট উপজেলাসহ ৫৯টি সরকারি-বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ও কিন্ডার গার্টেন (কেজি স্কুল) এবং মাদ্রাসার ৩য় শ্রেণি থেকে ৫ম শ্রেণির ৮৫২ শতাধিক শিক্ষার্থী মেধা বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে। দ্বিতীয় দিন ৩২টি মাধ্যমিক সমমানের ৬ষ্ঠ শ্রেণি থেকে ৮ম শ্রেণির ৬০৫ শতাধিক শিক্ষার্থী মেধা বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে।
ফাউন্ডেশনের সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এটি নোয়াখালী সেনবাগে সর্ববৃহৎ ও ঐতিহ্যবাহী বেসরকারি বৃত্তি প্রকল্প। শিক্ষা বিস্তার কার্যক্রমের প্রসার ও শিক্ষা মানোন্নয়নের ক্ষেত্রে মেধাবিকাশকে উৎসাহিত করার জন্য প্রত্যন্ত অঞ্চলের শিক্ষা বঞ্চিত শিক্ষা থেকে ঝরে পড়া ছাত্র-ছাত্রীদেরকে শিক্ষার প্রতি আরও উৎসাহিত করার লক্ষ্যে ফাউন্ডেশনটি নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
ফাউন্ডেশন জানায়, এবারের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের দায়িত্ব পালন করেন চিলাদি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. মিজানুর রহমান ও কেন্দ্র সচিব চিলাদি মহিলা আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মো. জসিম উদ্দিন আশ্রাফী। আর উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের দায়িত্ব পালন করেন ফাউন্ডেশনের সদস্য ও ছাতারপাইয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মাস্টার মো. কামরুল ইসলাম। সার্বিক বিষয়ে তত্ত্বাবধায়ন করেন ফাউন্ডেশনের সভাপতি মাস্টার আব্দুল খালেক ও সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. কামাল উদ্দিন এবং বৃত্তি পরিচালনা কমিটির সদস্য ও নোয়াখালী বিভাগ বাস্তবায়ন সমন্বয় কমিটি-ঢাকার অর্থ সম্পাদক মো. গিয়াস উদ্দিন হৃদয়।
ফাউন্ডেশনের সভাপতি মাস্টার আবদুল খালেক বলেন, ‘২০০৫ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে পরিচালিত নোয়াখালীর অন্যতম সাড়া জাগানো শিক্ষাবান্ধব উদ্যোগ ‘চিলাদি শিক্ষা উন্নয়ন ফাউন্ডেশন’ শিক্ষার্থীদের মেধা, মনন ও নৈতিক বিকাশে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছে। প্রতি বছর কুমিল্লা ও নোয়াখালীর বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মেধাবী শিক্ষার্থীরা এতে অংশগ্রহণ করে থাকে। আমরা চিশিউফানের বৃত্তির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মেধা, মনন ও সৃজনশীলতার বিকাশে দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।’
ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, শিক্ষার পাশাপাশি জনকল্যাণকর বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে ফাউন্ডেশনটি। ২০২৪ সালের বন্যাকালীন সময়ে সাধারণ দরিদ্র পরিবারদের খাদ্য সরবরাহ করে তারা।
