নোয়াখালীর চাটখিলে একদিকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান চললেও, অন্যদিকে সড়ক ও জনপদ (সওজ) বিভাগের সরকারি জায়গা দখল করে স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। ব্যস্ততম সড়কের পাশে এসব দখলের কারণে সৃষ্টি হয়েছে যানজট, পরিবেশ বিপর্যয় ও জনদুর্ভোগ।
সোনাইমুড়ী-িচাটখিল-রামগঞ্জ সড়কের পাশে সওজের জায়গা দখল করে একের পর এক স্থাপনা নির্মাণ করা হচ্ছে। এতে রাস্তার পাশের চলাচলের পথ সরু হয়ে যানবাহনের চাপ বেড়েছে, তৈরি হয়েছে দুর্ঘটনার আশঙ্কাও।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চাটখিল পূর্ব বাজারে জাহাঙ্গীর টাওয়ারের সামনে সরকারি জায়গা দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করছেন এলাকার কথিত ভূমিদস্যু বেলায়েত হোসেন, মঈন উদ্দিন, জাকির হোসেন ও সাহাব উদ্দিনসহ একটি প্রভাবশালী চক্র। প্রশাসনের চোখের সামনেই এসব স্থাপনায় মাদকাসক্তদের আড্ডা বসছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।
স্থানীয়দের দাবি, দখলদার চক্র এতটাই প্রভাবশালী যে প্রশাসনও ব্যবস্থা নিতে ভয় পাচ্ছে। শুধু জাহাঙ্গীর টাওয়ার নয়, চাটখিল বাজার থেকে প্রধান সড়কের পাশের বহু সরকারি জায়গা অবৈধভাবে দখল হয়ে গেছে।
স্থানীয়রা জানান, “একদিকে প্রশাসন উচ্ছেদ অভিযান চালালেও, অন্যদিকে আবার নতুন করে দখল চলছে প্রকাশ্যে। এতে দৈনিক ভোগান্তিতে পড়ছেন পথচারী, ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ।”
চাটখিল–সোনাইমুড়ী আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর মাওলানা অধ্যক্ষ ছাইফ উল্যাহ বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে সরকারি জায়গা দখল চলছে। আমরা বারবার প্রশাসনকে জানিয়েছি। নির্বাচনে ক্ষমতায় এলে এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে সরকারি সম্পত্তি রক্ষা করা হবে।” তিনি জনস্বার্থে প্রশাসনকে সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
অন্যদিকে অভিযুক্ত বেলায়েত হোসেনসহ দখলকারীরা দাবি করেন, “আমরা দীর্ঘদিন ধরে এখানে ব্যবসা করছি। সরকারের প্রয়োজন হলে যেকোনো সময় জায়গা খালি করে দেবো, তবে কারও ব্যক্তিগত স্বার্থে নয়।”
এ বিষয়ে নোয়াখালী সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ফরিদ উদ্দিন বলেন, “সোনাইমুড়ী-চাটখিল-রামগঞ্জ সড়ক ফোরলেন উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন হয়েছে। কাজ শুরু হলে সড়ক প্রশস্ত করতে সরকারি জায়গা দখলমুক্ত করা হবে।”
চাটখিল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানান, “নিয়মিত উচ্ছেদ অভিযান চলছে। উচ্ছেদের পরও কিছু লোক আবার স্থাপনা তোলে। খুব শিগগিরই সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে দায়ীদের আইনের আওতায় আনা হবে।”
স্থানীয়দের দাবি, সরকারি জায়গা দখল রোধে দরকার কঠোর নজরদারি ও স্থায়ী উদ্যোগ। তা না হলে জনদুর্ভোগ আরও বাড়বে।


