পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে গত ২৬ জুলাই মাছ ধরার ট্রলার এফবি সাগরকন্যা ডুবে যায়। ট্রলারটিতে ১৫ জন জেলে ছিলেন। চারদিন সাগরে ভেসে থাকার পর জীবিত উদ্ধার হয়েছেন ৯ জন, তবে এখনো নিখোঁজ রয়েছেন ৬ জেলে।
উদ্ধার হওয়া আহত জেলেদের মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) ভোররাতে কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
গত ২৬ জুলাই সকাল ১০টার দিকে বঙ্গোপসাগরের শেষ বয়া থেকে প্রায় ৭৫ কিলোমিটার গভীরে ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটে।
এর আগে ২৫ জুলাই মহিপুর থেকে ১৫ জেলে নিয়ে গভীর সমুদ্রে রওনা দেন ট্রলারটির মাঝি আবদুর রশিদ।
জেলেদের ভাষ্য অনুযায়ী, জাল ফেলার কিছু সময় পরই হঠাৎ এক ঝড় ও প্রচণ্ড ঢেউয়ের কবলে পড়ে ট্রলারটি। মুহূর্তেই ট্রলারটি দুমড়ে-মুচড়ে ডুবে যায়। শুরুতেই একজন জেলে ঢেউয়ের তোড়ে নিখোঁজ হন। এরপর বাঁশ ও ফ্লুটের (ভেসে থাকার সরঞ্জাম) সাহায্যে ১৪ জন ভাসতে থাকেন। পরবর্তী সময়ে আরও ৫ জন ঢেউয়ের তোড়ে নিখোঁজ হয়ে যান।
ভেসে ভেসে তারা শেষ বয়া সংলগ্ন এলাকায় পৌঁছান। সেখান থেকে সোমবার রাতে দুটি মাছ ধরার ট্রলার ৯ জনকে উদ্ধার করে।
নিখোঁজ জেলেরা হলেন- আবদুর রশিদ, নজরুল ইসলাম, রফিক, ইদ্রিস, হারুন ও কালাম।
মহিপুর থানার ওসি মাহমুদ হাসান বলেন, ‘এই ঘটনায় ট্রলার মালিক কিশোর হাওলাদার গত ২৬ জুলাই একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। নিখোঁজ জেলেদের উদ্ধারে আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’