সোমবার, ০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


পটুয়াখালী প্রতিনিধি

প্রকাশিত: আগস্ট ২৮, ২০২৫, ০৩:৫০ পিএম

রাতের আঁধারে মাটি কাটছে প্রভাবশালীরা, ঝুঁকিতে শতাধিক পরিবার ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

পটুয়াখালী প্রতিনিধি

প্রকাশিত: আগস্ট ২৮, ২০২৫, ০৩:৫০ পিএম

রাতের আঁধারে নদীর তীরের মাটি অবৈধভাবে কেটে নিচ্ছে স্থানীয় প্রভাবশালীরা। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

রাতের আঁধারে নদীর তীরের মাটি অবৈধভাবে কেটে নিচ্ছে স্থানীয় প্রভাবশালীরা। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

পটুয়াখালীর সদর উপজেলার লোহালিয়া ইউনিয়নের পালপাড়া বাজার সংলগ্ন এলাকায় রাতের আঁধারে নদীর তীরের মাটি অবৈধভাবে কেটে নিচ্ছে স্থানীয় প্রভাবশালীরা। এতে ঝুঁকির মুখে পড়েছে সড়ক, বাজার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও আশপাশের শতাধিক বসতবাড়ি।

অভিযোগ রয়েছে, এ কার্যক্রমের নেতৃত্ব দিচ্ছেন লোহালিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি কামাল হোসেন মৃধা। প্রতিদিন গভীর রাত থেকে ভোর পর্যন্ত ভেকু ও ডাম্পার ব্যবহার করে বিপুল পরিমাণ মাটি উত্তোলন করে ইটভাটায় বিক্রি করা হচ্ছে। এতে নদীর পাড় ধসে পড়ছে এবং অবকাঠামোতে ফাটল দেখা দিয়েছে।

পালপাড়া বাজারের ব্যবসায়ী মকবুল হোসেন হাওলাদার বলেন, ‘আমাদের বাজারের পাশের রাস্তার একাংশ ইতোমধ্যেই ধসে পড়েছে। ভয় হচ্ছে, যেকোনো সময় পুরো বাজার নদীতে চলে যেতে পারে। বাধা দিলে কামাল মৃধার লোকজন হামলা-মামলার হুমকি দেয়।’

অভিভাবকরা জানান, নদী ভাঙনে মাদ্রাসার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হলে শত শত শিক্ষার্থী শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হবে।

স্থানীয় বাসিন্দা জাকির হোসেন বলেন, আমাদের বাড়িও ঝুঁকিতে পড়েছে। বিষয়টি প্রশাসনকে জানালেও কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

অভিযুক্ত লোহালিয়া ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি কামাল মৃধা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমি আমার পৈতৃক জায়গা বিক্রি করেছি। যারা কিনেছে তারা মাটি কাটছে। আমার বিরুদ্ধে প্রতিপক্ষরা বদনাম ছড়াচ্ছে।’

এ বিষয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) চন্দন কর বলেন, ‘নদীর পাড় সরকারি হোক বা ব্যক্তিগত জমি—অনুমতি ছাড়া মাটি কাটার সুযোগ নেই। বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

অবৈধভাবে নদী‌ পাড়ের মাটি কেটে নেওয়ার বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিব বলেন, ‘এভাবে মাটি কাটলে বেড়িবাঁধ ঝুঁকিতে পড়বে। আমাদের প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে আমরা তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার চেষ্টা করবো।’

স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, ‘রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে প্রশাসন কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। তারা অবৈধ মাটি কাটার বিরুদ্ধে দ্রুত কঠোর অভিযান চালানোর দাবি জানিয়েছেন।’

Link copied!