ঢাকা রবিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ফুসে উঠছে পদ্মা, বিপাকে ১৫ চরের মানুষ

রাজশাহী ব্যুরো
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৭, ২০২৫, ১০:১৫ এএম
পদ্মার চরে আবারও পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।

রাজশাহীর বাঘা উপজেলার পদ্মার চরে আবারও পানি বৃদ্ধি পেয়ে বাড়ির উঠানে উঠে গেছে। এর ফলে আতারপাড়া, চৌমাদিয়া ও দিয়ারকাদিরপুর চরের নিচু এলাকার মানুষেরা নতুনভাবে গরু-ছাগল নিয়ে সমস্যায় পড়েছেন। পদ্মার ১৫টি চরের প্রায় দুই হাজার পরিবারের মধ্যে এ পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) সকালে আতারপাড়া চরের দৃশ্য কাব্যিক নয়, বরং দুর্ভোগপূর্ণ। আতারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পানি মাড়িয়ে স্কুলে যেতে পারছেন না। চৌমাদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়েও একই অবস্থা দেখা দিয়েছে।

চৌমাদিয়া চরের সলেমান হোসেন জানান, নতুন করে চর গুলোর মধ্যে পানি উঠেছে। চরের প্রতিটি বাড়ির উঠানে নতুনভাবে পানি প্রবেশ করেছে। মানুষ কোথাও যেতে পারছে না। গরু-ছাগল নিয়েও পড়েছে মহাসমস্যায়।

চকরাজাপুর ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার আবদুর রহমান বলেন, ‘পদ্মার মধ্যে ১৫টি চরের আয়তন ৪৬ কিলোমিটার। জনসংখ্যা সাড়ে ১৫ হাজার। ৬ হাজার একর জমি। জীবন বাজি রেখে চরে বসবাস করে তারা।’

নিজের যতটুকু জমি ছিল, সব ভাঙনে চলে গেছে বলেও জানান মেম্বার আবদুর রহমান। তিনি বলেন, ‘নতুনভাবে পদ্মার পানি বেড়ে যাওয়ায় আবারও নিরুপায় হয়ে পড়েছি আমরা।’

কালিদাসখালী চরের স্কুল শিক্ষক গোলাম মোস্তফা জানিয়েছেন, পদ্মা ভাঙনের কারণে চকরাজাপুর মোজার চিহ্ন হারিয়ে গেছে। একইসঙ্গে কালিদাসখালী চরের তিন ভাগের দুই ভাই হারিয়ে গেছে।

এ বিষয়ে চকরাজাপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আজিজুল আযম জানান, পদ্মার পানি বৃদ্ধির বিষয়টি ইতিমধ্যে কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) গেজ রিডার এনামুল হকের তথ্য অনুযায়ী, রোববার সকাল ৮টায় পদ্মার পানি ১৬ দশমিক ৮২ মিটার, বিপৎসীমা ১৮ দশমিক ৫ মিটার।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাম্মী আক্তার বলেন, এ বিষয়ে তারা অবগত হয়েছেন।