রাঙামাটি পার্বত্য জেলা বাঘাইছড়ি উপজেলার আমতলী ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড প্রত্যন্ত দুর্গম অঞ্চল কবিরপুর গ্রামে আদিবাসি অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা সোমবার রাতে অতর্কিত হামলা চালিয়ে বাঙালিদের বাড়ি-ঘর ভাংচুর করে পালিয়ে যায়।
স্থানীয়রা জানান, গত সোমবার রাত ১০ ঘটিকার সময় আমতলী ইউনিয়নের (মাহিল্যা কবিরপুর) পাহাড়ি সশস্ত্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠী জজ মিয়ার বাড়িতে অতর্কিত হামলা চালিয়ে বাড়ি-ঘর ভাংচুর করে এবং বেশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি চালায়। এরপর থেকে এলাকায় বসবাসরত জনগণের মাঝে আতংক বিরাজ করছে। নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে ওই এলাকার মানুষ। চরম আতংকে আছেন মাহিল্যা কবিরপুর এলাকাবাসী।
উপজাতি সন্ত্রাসীদের ভয়ে ও আতংকে আমতলী, মাহিল্যা এবং কবিরপুর এলাকার মানুষ রাতে ঘুমাতে পারছে না। তারা জরুরিভাবে একটি প্রশাসনের কাছে একটি ক্যাম্প স্থাপনের দাবি জানান। সন্ত্রাসীরা প্রতিনিয়ত এই এলাকায় ক্ষতি করার জন্য দৃষ্টিপাত রেখেছে। তারা আমাদের কাছে চাঁদা দাবি করছে। বাঙালিরা পাহাড় পর্বতে যেতে পারছে না। পাহাড়ে গেলেই তারা চাঁদা খুঁজে।
ভুক্তভোগী জজ মিয়া জানিয়েছেন, পাহাড়ের সশস্ত্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠী পাহাড়ে বসবাসরত পাহাড়ি-বাঙালির সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে।
আদিবাসী সশস্ত্র সন্ত্রাসী অস্ত্র গোলাবারুদ নিয়ে ফাঁকা গুলি করতে করতে আমার বাড়িতে ঢুকে তাণ্ডবলীলা চালায়। ঘরের আসবাবপত্র সবকিছু ভাংচুর করে পালিয়ে যায়। যাওয়ার সময় চাঁদাসহ বিভিন্ন ধরনের হুমকি-ধমকি দিয়ে যায়। পাহাড়ে না যেতেও বারণ করে। তাই প্রশাসনের কাছে আমাদের দাবি, এই এলাকায় জরুরি ভিত্তিতে একটি ক্যাম্প স্থাপন।
আমতলী ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য আয়নাল হক মেম্বার মুঠোফোনে বলেন, আমতলী বাজার থেকে কবিরপুর কালো পাহাড় পর্যন্ত বিশাল এলাকাজুড়ে বর্তমানে থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে।
বিশাল এলাকায় কোনো ধরনের নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়ন না থাকায় সন্ত্রাসীরা অতি সহজেই বাঙালিদের ওপর আক্রমণ চালায়। সরকারের কাছে আমাদের দাবি, কবিরপুর জজ মিয়ার বাড়ির সামনে কালা পাহাড় মুখে একটি ক্যাম্প স্থাপন করা হোক।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন