রাঙামাটির দুর্গম রাজস্থলী উপজেলায় সীমান্তপথ ব্যবহার করে চলা বিদেশি পণ্য চোরাচালান দমনে গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য অর্জন করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
রোববার (৭ ডিসেম্বর) গভীর রাতে মিতিঙ্গাছড়ি টিওবি ক্যাম্পের সদস্যরা একটি বিশেষ তল্লাশি অভিযান পরিচালনা করে বিপুল পরিমাণ বিদেশি সিগারেটসহ একটি পিকআপ ভ্যান এবং চার চোরাকারবারিকে আটক করে। আটক ব্যক্তিদের মধ্যে একজন ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য রয়েছেন।
টিওবি ক্যাম্পের প্রধান চেকপোস্টে সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার মো. মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে পরিচালিত এ অভিযানে পাচারের উদ্দেশ্যে আনা ভারতীয় বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মোট ১০ হাজার প্যাকেট সিগারেট জব্দ করা হয়। জব্দকৃত সিগারেটের বাজারমূল্য আনুমানিক ২১ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এ ছাড়া পিকআপ থেকে আরও দেড় লাখ টাকা নগদ উদ্ধার করা হয়।
আটককৃতরা হলেন: বাঙ্গালহালিয়া বাজারের শিমুল দাস (৪৫), ইউপি সদস্য; পাথরবন পাড়ার মো. সাজ্জাদ ইসলাম (২২); শফিপুর এলাকার মো. মহিবুল হাসান (২৩) এবং রাজস্থলী বাজারের রনি তঞ্চঙ্গ্যা (২০)।
অভিযান শেষে রাজস্থলী আর্মি ক্যাম্পের কমান্ডার ক্যাপ্টেন মর্তুজা সাইফ রাসেল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরে আটক ব্যক্তিদের, পিকআপ ভ্যান ও জব্দকৃত সিগারেট রাজস্থলী থানা পুলিশের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হয়।
এ বিষয়ে রাজস্থলী থানার ওসি ইকবাল বাহার চৌধুরী বলেন, ‘আমি আজ খাগড়াছড়ি জেলার দীঘিনালা থানায় বদলি হয়েছি। আসামিদের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইন, ১৯৭৪-এর ২৫(বি) ধারায় মামলা দায়ের করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। রাজস্থলীতে আগের মতোই মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অব্যাহত থাকবে।’
দীর্ঘদিন ধরে সীমান্ত এলাকার দুর্গম পথ ব্যবহার করে ভারত থেকে বিদেশি সিগারেট ও অন্যান্য পণ্য চোরাচালান করে আসছিল একটি চক্র। তবে সম্প্রতি সেনাবাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নজরদারি ও টহলের কারণে এসব অবৈধ কার্যক্রম উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। সীমান্ত এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার ও টহল বৃদ্ধি অব্যাহত রাখার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।



