মঙ্গলবার, ১৯ আগস্ট, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


মিঠাপুকুর (রংপুর) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: আগস্ট ১৯, ২০২৫, ০৪:৪৬ পিএম

রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় সুবিধাবঞ্চিত আবাসনের বাসিন্দারা

মিঠাপুকুর (রংপুর) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: আগস্ট ১৯, ২০২৫, ০৪:৪৬ পিএম

বলদীপুকুর আবাসন প্রকল্পের বাসিন্দারা জরাজীর্ণ ঘরে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

বলদীপুকুর আবাসন প্রকল্পের বাসিন্দারা জরাজীর্ণ ঘরে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার রানীপুকুর ইউনিয়নের বলদীপুকুর আবাসন প্রকল্পের বাসিন্দারা জরাজীর্ণ ঘরে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। বৃষ্টি হলে তারা পলিথিন মুড়িয়ে রাত পার করেন।

২০০২ সালে বিএনপি সরকারের সময় নির্মিত এই আবাসনের ঘরগুলোতে এখন ৩৮০টি পরিবার বসবাস করে। দিনমজুর, লেবার, অটোরিকশা-ভ্যানচালক, কৃষিমজুর, আদিবাসী ও জেলেরা এসব ঘরে বসবাস করছেন। কিন্তু ২৩ বছর পার হওয়া সত্ত্বেও কোনো সংস্কার হয়নি। স্থানীয়দের মতে, বিএনপি সরকারের সময় ঘরগুলো বিতরণ হলেও রাজনৈতিক কারণে পরবর্তী সময়ে সংস্কারের সুবিধা তারা পায়নি।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিটি ঘর জরাজীর্ণ। টিন ফুটো ও ছাউনি ভাঙা, দরজা নেই, টয়লেট ভাঙা, পানির জন্য প্রয়োজনীয় টিউবওয়েল নেই। বাসিন্দারা অনেক সময় টিনশেড ঘরের ওপর পলিথিন বা ট্রিপল দিয়ে বৃষ্টি রোধ করার চেষ্টা করেন। তবুও বেশি বৃষ্টিতে ঘরের ভিতরে পানি ঢুকে আসবাবপত্র ভিজে যায় এবং ঘর পানিতে ভরে যায়।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, মিঠাপুকুর উপজেলার রানীপুকুর ইউনিয়নে ৩৮টি আবাসনের ব্যারাক রয়েছে। ব্যারাকের জরাজীর্ণ ঘরগুলোতে ৩৮০টি পরিবার বসবাস করছে।

আবাসন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, প্রতিটি ঘরই জরাজীর্ণ। টিন ফুটো, ঘরের ছাউনি ভাঙা, দরজা নেই, টয়লেট ভাঙা, পানির জন্য প্রয়োজনীয় টিউবওয়েল নেই। অনেকেই টিনশেড ঘরগুলোর ওপরে পলিথিন বা ট্রিপল দিয়েছেন। তবুও বৃষ্টি হলে রক্ষা মেলে না এখানকার বাসিন্দাদের। বৃষ্টির পানি ভেতরে পড়ে ভিজে যায় ঘরের প্রয়োজনীয় জিনিস ও আসবাবপত্র। বেশি বৃষ্টি হলেই ঘরগুলো পানিতে টইটুম্বুরও হয়ে যায়।

আবাসনের বাসিন্দা আনিছুর রহমান বলেন, ‘সবাই আইসে আর ছবি তুলি নিয়া যায়, কিন্তুক হামার ঘরের টিন নাগায় না। ঝড়ি আসলে হামার ঘুম হয় না বাবা। কেউ হামার খবর নেয় না।’

আরেক বাসিন্দা গোলসেনারা বেগম বলেন, ‘বিএনপির সময় ঘর পাছি, তারপর আর কেউ খবর নেয় নাই। ঘর সরকারের, জমি সরকারের। ধারদেনা করি যে ঘরগুলা ঠিক করমো তাও পারি না। হমার পাকে কেউ দেখে না বাবা।’

আরেক বয়োবৃদ্ধা করিমন্নেছা বেগম বলেন, ‘বেশি বৃষ্টি হইলে ঘরের কোনায় বা চকির নিচে থাকতে হয়। কখন বৃষ্টি কমবে সেই আশায় পলিথিন মুড়িয়ে বসে থাকি, এটা কোনো জীবন! ঘরের বেড়ার টিনগুলোও এখন মরীচিকা ধরে ঝাঁজরা হয়ে গেছে। এখানে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে থাকতে ভীষণ কষ্ট হচ্ছে। এখন ঘরগুলো মেরামতের অবস্থায় নেই। তাই এই আবাসনের ঘরগুলো পুনর্নির্মাণের দাবি জানাচ্ছি।’

মিঠাপুকুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান বলেন, ‘বর্তমানে এ প্রকল্পগুলোর কোনো কাজ হচ্ছে না। নতুন করে প্রকল্প আসলে এগুলো সংস্কার কিংবা নতুন ঘর নির্মাণ করা সম্ভব।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও’র অতিরিক্ত দায়িত্ব) মুলতামিস বিল্লাহ বলেন, ‘আবাসনের ঘরগুলো সংস্কার বা পুনর্নির্মাণ করার জন্য বরাদ্দ নেই। বরাদ্দ পেলে কাজ করা সম্ভব হবে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কতৃপক্ষের কাছে অবগত করা হবে।’

Link copied!