ভারতের মেঘালয় ও আসামে টানা ভারী বর্ষণের প্রভাবে শেরপুর জেলার পাহাড়ি নদ-নদীর পানি দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। পাশাপাশি স্থানীয়ভাবে গত তিন দিন ধরে থেমে থেমে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে জেলার কিছু নদীর পানি বিপদসীমার কাছাকাছি পৌঁছেছে।
এতে আকস্মিক বন্যার শঙ্কায় রয়েছেন নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষ।
জানা গেছে, সোমেশ্বরী নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে নির্মাণাধীন চাপাতলী সেতুর পার্শ্ববর্তী নিম্নাঞ্চলে প্রবেশ করেছে। ফলে আশপাশের কয়েকটি দোকান আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
শেরপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, সোমবার (১৯ মে) বিকেল ৪টায় ভোগাই নদীর পানি বিপদসীমার ৩১৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে এবং চেল্লাখালী নদীর পানি ২৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর এক সতর্কবার্তায় জানিয়েছে, ২০ মে পর্যন্ত জেলার নিম্নাঞ্চলগুলো সাময়িকভাবে প্লাবিত হতে পারে। এতে জনজীবনে বিঘ্ন ও কৃষিখাতে বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।
এদিকে, জেলা কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, যেসব এলাকায় ধান ৮০ শতাংশের বেশি পেকে গেছে, সেসব জমির ধান দ্রুত কেটে উঁচু জায়গায় সরিয়ে নিতে কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, সম্ভাব্য বন্যা মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে মাইকিং করে জনগণকে সতর্ক করা হচ্ছে।
ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আশরাফুল আলম রাসেল বলেন, ‘বৃষ্টি বেশি হওয়ায় নদীর পানি কিছুটা বেড়েছে। তবে এখনো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং আমরা সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি।’