ঢাকা শনিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২৫

সাতক্ষীরায় সাংবাদিকের ওপর জামায়াত নেতাদের হামলা

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: অক্টোবর ২৪, ২০২৫, ১০:৫১ পিএম
ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

সাতক্ষীরার তালায় জামায়াত নেতাদের নেতৃত্বে দফায় দফায় হামলার ঘটনা ঘটেছে।

শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় তালা হাসপাতালে জরুরি বিভাগের সামনে এই হামলার ঘটনা ঘটে। এর আগে দুপুরে রহিমাবাদ গ্রামে হামলার ঘটনা ঘটেছিল।

হামলায় আহত হয়েছেন রহিমাবাদ গ্রামের আবতার মোড়লের স্ত্রী রমেছা বেগম, যিনি বর্তমানে তালা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

আহত রমেছা বেগমের ছেলে সাংবাদিক মোস্তাফিজুর রহমান রাজু জানান, ‘গ্রামের মধ্যে একটি রাস্তা সংস্কার নিয়ে দুপুরের পর বৈঠক বসানো হয়েছিল। সেখানে সাত্তার মোড়ল ও আনিছ মোড়ল রাস্তা করতে দিতে অস্বীকৃতি জানায়। আমার বাবা প্রতিবাদ করলে বাবা-মা এবং আমাকে দলবল নিয়ে মারপিট করে। হামলাকারীরা সবাই জামায়াতের কর্মী ও সমর্থক।’

এদিকে, সাংবাদিক খাঁন নাজমুল হুসাইন সন্ধ্যায় তালা হাসপাতালে রাজুর মাকে দেখতে এবং সংবাদ সংগ্রহের জন্য গেলে পৌঁছানোর মাত্রই পুনরায় হামলার ঘটনা ঘটে।

হামলার শিকার সাংবাদিক খাঁন নাজমুল ইসলাম জানান, ‘হাসপাতালে ভর্তি সহকর্মী রাজুর মাকে দেখা ও তথ্য সংগ্রহের জন্য হাসপাতালে যাওয়ার পরই জরুরি বিভাগের সামনে তালা সদর ইউনিয়নের জামায়াতের টিম সদস্য, চেয়ারম্যান প্রার্থী অ্যাডভোকেট মশিয়ার রহমান এবং উপজেলা যুব জামায়াতের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান রেন্টুর নেতৃত্বে ২০-৩০ জন জামায়াত কর্মী-সমর্থক হঠাৎ হামলা চালায় এবং মারপিট করে। ৫ আগস্ট পরবর্তীতে যুব জামায়াতের রেন্টুর বিরুদ্ধে বিরোধপূর্ণ জমিজমা মীমাংসার নামে চাঁদাবাজি ও দখলবাজির অভিযোগও রয়েছে।’

হামলার বিষয়ে যুব জামায়াতের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান রেন্টু বলেন, ‘পারিবারিক বিরোধকে কেন্দ্র করে আমরা মীমাংসার জন্য গিয়েছিলাম। এই সময় সাংবাদিক নাজমুল ইসলামের সঙ্গে তর্কবিতর্ক ও সামান্য হাতাহাতি হয়েছে, মারপিটের ঘটনা ঘটেনি।’

জামায়াত নেতা অ্যাডভোকেট মশিয়ার রহমান বলেন, ‘সাংবাদিক নাজমুলকে আমি বলেছিলাম, এটি পারিবারিক বিষয়। ভিডিও করা বা পত্র-পত্রিকায় প্রকাশ করার দরকার নেই। এই সময় তর্ক হয়। তখন আমার সঙ্গে যারা ছিলেন তারা ক্যামেরা নেওয়ার চেষ্টা করেছিল, এতে সামান্য ধস্তাধস্তি হয়েছে।’

তালা থানার ওসি মো. মাঈনুদ্দীন জানান, ‘দুপুরে একটি ঘটনা ঘটেছিল। সেই জেরে সন্ধ্যায় আবার মারপিটের ঘটনা ঘটে। সাংবাদিককে থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়ার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।