শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার ভেলুয়া ইউনিয়নের দষ্টিপাড়া থেকে শিমুলচূড়া বাজার পর্যন্ত প্রায় ২ কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা বর্ষায় কাদায় পরিণত হওয়ায় চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন আশপাশের কয়েক হাজার বাসিন্দা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ভেলুয়া বাজার থেকে কিছুদূর ইটের হেরিং বন্ড রাস্তা থাকলেও সামনে শুরু হয় কাঁচা রাস্তা। বর্ষা মৌসুমে ভারী যানবাহন ও ট্রাক্টরের চলাচলে রাস্তায় সৃষ্টি হয়েছে গভীর গর্ত, কাদা ও জলাবদ্ধতা। এতে প্রতিদিন যাতায়াতে ভোগান্তিতে পড়ছেন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, কৃষকসহ সাধারণ মানুষ।
স্থানীয় যুবসমাজের উদ্যোগে প্রায় ৫০ হাজার টাকা চাঁদা তুলে নিজেরাই রাস্তা সংস্কারের চেষ্টা করছেন এলাকাবাসী। তবে সরকারি উদ্যোগ কিংবা কোনো জনপ্রতিনিধির সহায়তা না পেয়ে তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
দষ্টিপাড়া গ্রামের কেরাতুল কোরআন হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক সুমন মিয়া বলেন, ‘বর্ষাকালে পুরো রাস্তায় কাদা আর পানি জমে যায়। হাঁটা তো দূরের কথা, মোটরসাইকেল কিংবা সাইকেলও চলতে পারে না।’
স্থানীয় কৃষক মমতাজ আলী বলেন, ‘প্রায় এক সপ্তাহ ধরে বাজারে যেতে পারছি না। ধান, পাট, সবজি, কলাসহ আমাদের উৎপাদিত ফসল বিক্রিতে চরম সমস্যা হচ্ছে।’
ভেলুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল করিম বলেন, ‘বর্তমানে কোনো বরাদ্দ নেই। ওই রাস্তাটি পাকাকরণের এখতিয়ার আমার নেই। তবে পরবর্তীতে প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আপাতত সামান্য সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হবে।’
শ্রীবরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ জাবের আহমেদ বলেন, ‘বিষয়টি আপনাদের মাধ্যমে জানলাম। যদি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে থাকে, তাহলে ইউপি চেয়ারম্যানকে নির্দেশনা দিয়ে প্রাথমিক সংস্কারের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রাস্তার আইডি থাকলে এবং বরাদ্দ পাওয়া গেলে এলজিইডির মাধ্যমে পাকাকরণের উদ্যোগ নেওয়া হবে।’
স্থানীয়রা জানান, ওই রাস্তায় একাধিক মাদ্রাসা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থাকায় শিক্ষার্থীরা বেশি দুর্ভোগে পড়ছে। দীর্ঘদিন ধরে রাস্তাটি সংস্কার না হওয়ায় এলাকাবাসীর জীবনযাত্রা ও অর্থনৈতিক কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।