সিলেটে শুটিংয়ে সালাহউদ্দিন, রাজনৈতিক মহলে নানা জল্পনা

সিলেটে আকস্মিক সফরে এসে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী সালাহউদ্দিন আহমেদ।

শনিবার (১১ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তিনি ঢাকা থেকে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান।

বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালে তামাবিল সীমান্তে সালাহউদ্দিন আহমেদের ‘নিখোঁজ’ হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে একটি ডকুমেন্টারি নির্মাণ করা হচ্ছে, আর সেই কাজের শুটিং করতেই তার এই সফর। শুটিং শেষে তিনি আবার ঢাকায় ফিরে যাবেন বলে জানা গেছে।

তবে এই সফরকে ঘিরে সিলেটের রাজনৈতিক অঙ্গনে নানা আলোচনা-সমালোচনার জন্ম নিয়েছে। স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় বিএনপির নেতাকর্মীদের মাঝে সৃষ্টি হয়েছে উৎসাহ ও উদ্দীপনা।

অনেকেই মনে করছেন, এটি কেবল একটি ব্যক্তিগত প্রকল্প নয়, বরং আসন্ন জাতীয় রাজনীতিকে সামনে রেখে দলের সাংগঠনিক পুনর্গঠনের কোনো বার্তা দিতেই তার এ আগমন।

সালাহউদ্দিন আহমেদকে স্বাগত জানাতে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ভিড় করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় শীর্ষ নেতারা। উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার আবদুল মুক্তাদির, যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এম এ মালিক, কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ সিদ্দিকী, সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক এমরান আহমেদ চৌধুরী, মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, কেন্দ্রীয় সদস্য আবুল কাহের শামীমসহ আরও অনেকে।

তবে সালাহউদ্দিন আহমেদের সফর উপলক্ষে সিলেটে কোনো সাংগঠনিক সভা বা কর্মসূচির আয়োজন করা হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী।

বাগদান সারলেন বিএনপি নেতা ইশরাক, পাত্রী কে

বিস্তারিত পড়ুন

তিনি বলেন, ২০১৫ সালে তামাবিল সীমান্তে ঘটে যাওয়া নিখোঁজ হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ডকুমেন্টারি নির্মাণ করতেই তিনি সিলেটে এসেছেন। অন্য কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচির পরিকল্পনা নেই।

তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই সফর ভবিষ্যৎ রাজনীতির জন্য একটি কৌশলগত পদক্ষেপ হতে পারে।