সিলেটের জৈন্তাপুর সীমান্তে চোরাই পণ্য ঠেকাতে গিয়ে বিজিবির ছোড়া গুলিতে প্রাণ গেল আলমাস মিয়া নামের এক যুবকের। বিজিবির দাবি, নিহত ব্যক্তি চোরাকারবারিদের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। কিন্তু পরিবারের অভিযোগ, নিরীহ কৃষক আলমাসকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।
বুধবার (২২ অক্টোবর) সকাল ১১টার দিকে চোরাই পণ্যবাহী একটি পিকআপ আটকাতে গেলে বিজিবি ও চোরাকারবারিদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে।
ঘটনাটি ঘটে সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার চারিকাটা ইউনিয়নের সুরাইঘাট সীমান্ত এলাকায়।
বিজিবির দাবি, তাদের ওপর গুলি চালানো হলে আত্মরক্ষায় পাল্টা গুলি ছোড়া হয়। এতে ঘটনাস্থলেই একজন নিহত হন। নিহত আলমাস মিয়া (৩৫) নয়াখেল গ্রামের বাসিন্দা এবং পেশায় একজন কৃষক ছিলেন। পরিবার ও স্থানীয়দের ভাষ্য, আলমাস কোনো চোরাচালানে যুক্ত ছিলেন না। তিনি ক্ষেতের কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে গুলির শিকার হন।
এদিকে নিহতের মৃত্যুতে উত্তাল হয়ে ওঠে স্থানীয় জনগণ। তারা চতুল এলাকায় একটি চোরাই পণ্য বোঝাই পিকআপ গাড়ি আটক করে রাখে।
জৈন্তাপুর থানার ওসি আবুল বাসার মোহাম্মদ বদরুজ্জামান জানান, ‘নিহতের লাশ জৈন্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাওয়া গেছে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায় নি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
জকিগঞ্জ ব্যাটালিয়নের ১৯ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. জুবায়ের আনোয়ার পিএসসি জানান, বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে। তদন্ত শেষে বিস্তারিত তথ্য সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হবে।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন