বুধবার, ২২ অক্টোবর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


নিজস্ব প্রতিবেদক, ময়মনসিংহ

প্রকাশিত: অক্টোবর ২২, ২০২৫, ০৮:২৫ পিএম

আত্মহত্যা করা তরুণীকে মর্গের ভিতরে ধর্ষণ, অভিযুক্ত গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক, ময়মনসিংহ

প্রকাশিত: অক্টোবর ২২, ২০২৫, ০৮:২৫ পিএম

গ্রেপ্তার ডোম আবু সাইদ। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

গ্রেপ্তার ডোম আবু সাইদ। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে আত্মহত্যার পর রাখা ২০ বছর বয়সি তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে আবু সাইদ (১৯) নামে এক ডোমের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। সেই মামলায় অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) রাতে হালুয়াঘাট থানার এসআই জামাল বাদী হয়ে কোতোয়ালী মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। এর আগে ২০ অক্টোবর বেলা ১২টার দিকে হাসপাতালের লাশ কাটা ঘরে এই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।

ডোম আবু সাঈদ জেলার হালুয়াঘাট উপজেলার খন্দকপাড়া গ্রামের মৃত জয়নাল আবেদীন ছেলে। সাঈদ হালুয়াঘাট থানার মরদেহ আনা নেওয়ার কাজ করতেন।

মামলা ও গ্রেপ্তারের তথ্য নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি মো. শিবিরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘এ ঘটনায় অভিযুক্ত আসামি আবু সাইদকে গ্রেপ্তার করে আদালতের নির্দেশে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ জসিম উদ্দিন বলেন, ‘গত রোববার জেলার হালুয়াঘাট উপজেলায় আনুমানিক রাত ৯টার দিকে ২০ বছর বয়সি এক তরুণী ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেন। পরে রাতে হালুয়াঘাট থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে হেফাজতে রাখে। পরদিন সকাল ১১টায় ডোম আবু সাইদ ও আরেকজন তরুণীর মরদেহ হাসপাতালের মর্গে নিয়ে আসে। আসার পর চাবি নিয়ে মর্গে মরদেহ রেখে চলে আবার চাবি দিয়ে চলে যায়।’

তিনি বলেন, ‘পরে আধাঘণ্টা পর আবারও আবু সাইদ ও তার সঙ্গী এসে চাবি নিয়ে মর্গে ঢুকে ধর্ষণ করে সেখানে ঘুমিয়ে পড়েন। পরে মর্গের কর্তব্যরত ডোম এসে মর্গ অন্ধকার দেখতে পেরে লাইট জালায়। এ সময় আবু সাইদ ও তার সঙ্গীকে মর্গে ঘুমাতে দেখেন। মরদেহ দেখে কর্তব্যরত ডুমের সন্দেহ হলে ডাক্তারকে খবর দেয়। ডাক্তার এসে ময়নাতদন্ত করে ধর্ষণের বিষয়টি জানায়।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘ডাক্তার ধর্ষণের বিষয়টি নিশ্চিত করলে হালুয়াঘাট থানায় খবর দেওয়া হয়। পরে হালুয়াঘাট থানা পুলিশ আবু সাইদ ও তার সঙ্গীকে গ্রেপ্তার করে। জিজ্ঞাসাবাদে আবু সাইদ ধর্ষণের বিষয়টি স্বীকার করলে তাকে গ্রেপ্তার করে কোতোয়ালী মডেল থানায় হস্তান্তর করেন।’

মামলার বাদী হালুয়াঘাট থানার এসআই জামাল বলেন, ‘আবু সাইদ জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। সে হালুয়াঘাট থানায় মরদেহ আনা নেওয়ার কাজ করতেন।’

Link copied!