বৃহস্পতিবার, ০১ মে, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: মার্চ ৩, ২০২৫, ১২:৪৮ পিএম

প্রথমবার যেখানে অভিযান চালাল দুদক

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: মার্চ ৩, ২০২৫, ১২:৪৮ পিএম

প্রথমবার যেখানে অভিযান চালাল দুদক

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

রোববার (২ মার্চ) এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

এ সময় দুদক টিম বিএসইসি থেকে প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) অনুমোদনসংক্রান্ত বিষয়ে কোম্পানির আবেদনের তালিকা, তাদের দাখিলকৃত প্রসপেক্টাস, নিরীক্ষা রিপোর্ট ও প্রয়োজনীয় অন্যান্য কাগজপত্র এবং চূড়ান্ত অনুমোদন তালিকা যাচাই করে।

বিএসইসিতে দুদক থেকে এটাই প্রথম অভিযান। আর এ অভিযান পরিচালনা করেন সংস্থাটির সহকারী পরিচালক মুবাশ্বিরা আতিয়া তমা, এসএম মামুনুর রশীদ ও রাজু আহমেদ।

জানা গেছে, ২০১০ সাল-পরবর্তী দুই কমিশনের মেয়াদের অনিয়ম ও দুর্নীতির অনেক প্রমাণ পেয়েছেন তারা। এক্ষেত্রে বিভিন্ন কোম্পানির প্রসপেক্টাসে থাকা আর্থিক প্রতিবেদনের তথ্যেও ম্যানিপুলেট করা হয়। আর্থিক অবস্থা দুর্বল থাকা কোম্পানিকে সবল দেখানো হয়। তারপর মার্কেটে ছাড়া হয় আইপিও। সেই কোম্পানি অব্যাহত প্রবৃদ্ধিও করেছে। তারপর একপর্যায়ে তাদের শেয়ারদর পড়তে শুরু করে। এতে বিনিয়োগকারীদের ক্ষতি হয়। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) থেকে বিভিন্ন সময় এসব কোম্পানির বিষয়ে সতর্ক করে সুপারিশ করা হলেও বিএসইসি তা আমলে নেয়নি। এসব অনিয়ম ও দুর্নীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত কর্মকর্তাদের অনুসন্ধানের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছে দুদক সূত্র।

কোম্পানিটির দাখিলকৃত ফ্যাব্রিকেটেড আর্নিংস অ্যান্ড অ্যাসেটস বিবরণী ও উইন্ডো ড্রেসিংয়ের মাধ্যমে তৈরীকৃত ব্যালান্সশিটের বিপরীতে আইপিও অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে অনেক ক্ষেত্রে ডিএসইর সুপারিশ ও অবজারভেশন বিবেচনা করা হয়নি, যা ব্যাপক অনিয়মের ক্ষেত্র তৈরি করেছে।

এছাড়া প্রাইভেট প্লেসমেন্ট জালিয়াতি ও বাণিজ্য, অধিক মূল্যে শেয়ার প্রাইস নিয়ে মার্কেটে প্রবেশ ও অল্প সময়ে শেয়ার বিক্রি, প্রাইসের দ্রুত অবনমনের পরিপ্রেক্ষিতে কমিশন যথাযথ ব্যবস্থা না নেয়ার বিষয়টিও পরিলক্ষিত হয়েছে।

দুদক জানিয়েছে, বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত পর্যালোচনায় টিম আরো প্রত্যক্ষ করে যে দুর্বল কোম্পানিগুলোকে অবৈধভাবে অনুমোদন দেয়ায় ক্যাপিটাল মার্কেটে প্রবেশের অল্পদিনেই তাদের লো পারফর্মিং কোম্পানি হিসেবে জেড ক্যাটাগরিভুক্ত করা হয়েছে।

এ ছাড়া জালিয়াতির মাধ্যমে চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টের প্রস্তুতকৃত উইন্ডো ড্রেসড ব্যালান্সশিট ও ফ্যাব্রিকেটেড আর্নিং রিপোর্ট ও ইস্যু ম্যানেজারের তৈরীকৃত ওভারভ্যালুড কোম্পানি প্রোফাইলের পরিপ্রেক্ষিতে অনিয়মের আশ্রয়ে বিএসইসি আইপিওর অনুমোদন দিয়েছে। প্রাপ্ত অনিয়মগুলোর বিষয়ে দুদক টিম প্রয়োজনীয় রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করে কমিশন বরাবর একটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করবে।

আরবি/এসআর

Link copied!