ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৯ মে, ২০২৫

পদত্যাগ করলেন ব্র্যাক ব্যাংকের এমডি

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: মে ২৭, ২০২৫, ০৪:৩৩ পিএম
ব্র্যাক ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সেলিম আর এফ হোসেন। ছবি- সংগৃহীত

ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সেলিম আর এফ হোসেন পদত্যাগ করেছেন। মঙ্গলবার (২৭ মে) ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের কাছে তিনি পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন।

পদত্যাগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ব্যক্তিগত কারণে পদত্যাগ করেছি। আমার ওপর অন্য কোনো চাপ নেই। বোর্ড এটা গ্রহণ করেছে। এখন বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠাবে। আশা করছি তারা গ্রহণ করবে।’

এর আগে ২০১৫ সালের নভেম্বর থেকে ব্র্যাক ব্যাংকের এমডি অ্যান্ড সিইও হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন সেলিম আর এফ হোসেন।

এ ছাড়া টানা দুই দফা তাকে পুনর্নিয়োগ দেয় ব্যাংকটি। সর্বশেষ ২০২৬ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত তার মেয়াদ ছিল। কিন্তু চাকরির ১০ মাস বাকি থাকতেই তিনি পদত্যাগ করলেন।

বর্তমানে ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও করপোরেট ও ইনস্টিটিউশনাল ব্যাংকিং বিভাগের প্রধান তারেক রেফাত উল্লাহ খান ভারপ্রাপ্ত এমডি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

পদত্যাগ প্রসঙ্গে ব্যাংকটির কর্মীদের উদ্দেশে চিঠি দিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রিয় সহকর্মীরা, সব ভালো জিনিসেরই শেষ আছে, আর সেই ধারাবাহিকতায় ব্র্যাক ব্যাংকে আমার সময়েরও শেষ হতে চলেছে। আমি ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও পরিচালনা পর্ষদের কাছে আমার পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছি। কিছু আনুষ্ঠানিকতা ও প্রক্রিয়া এখনো বাকি রয়েছে, তবে আশা করি সেগুলো কোনো সমস্যা সৃষ্টি করবে না।’

তিনি চিঠিতে লেখেন, ‘আজই সম্ভবত আমার ব্র্যাক ব্যাংকে শেষ কর্মদিবস। গত প্রায় দশ বছর ধরে আপনাদের সঙ্গে কাজ করতে পারা আমার জন্য একটি বড় সম্মানের বিষয় ছিল। আমরা একসঙ্গে একটি অসাধারণ প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছি, যা দেশের ব্যাংকিং খাতে এক অনুকরণীয় মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।’

চিঠিতে আরও লেখা হয়, ‘আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে, ব্র্যাক ব্যাংক ভবিষ্যতেও উন্নতি অব্যাহত রাখবে এবং দেশের অর্থনীতি ও সমাজে আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।’

‘আপনাদের প্রত্যেকের ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনে আগামী দিনে আরও সাফল্য ও অগ্রগতি কামনা করছি। আপনাদের এবং আপনাদের পরিবারের সুস্বাস্থ্য ও সমৃদ্ধি কামনা করছি। অনুগ্রহ করে আমাকে ও আমার পরিবারকে আপনাদের প্রার্থনায় রাখবেন।’

উল্লেখ্য, সেলিম আর এফ হোসেনের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে ব্র্যাক ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।