সোমবার, ০৪ আগস্ট, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: আগস্ট ৪, ২০২৫, ০৬:৫৭ এএম

বিডা চেয়ারম্যান

হালাল অর্থনীতি খাতে আঞ্চলিক হাব হতে চায় বাংলাদেশ

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: আগস্ট ৪, ২০২৫, ০৬:৫৭ এএম

‘হালাল ইকোনমি ৩৬০: ড্রাইভিং গ্লোবাল গ্রোথ’ শীর্ষক সেমিনারে চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন। ছবি - সংগৃহীত

‘হালাল ইকোনমি ৩৬০: ড্রাইভিং গ্লোবাল গ্রোথ’ শীর্ষক সেমিনারে চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন। ছবি - সংগৃহীত

হালাল অর্থনীতির ৭ ট্রিলিয়ন ডলারের বৈশ্বিক বাজারে প্রতিযোগিতামূলক অবস্থান তৈরি করতে কাজ করছে বাংলাদেশ। হালাল পণ্যের আঞ্চলিক হাব হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করতে সরকারের পরিকল্পনা ও উদ্যোগের কথা জানিয়ে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) এবং বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন বলেছেন, হালাল অর্থনীতির সহায়ক পরিবেশ গড়ে তোলার বিষয়ে সরকার বদ্ধপরিকর।

রোববার রাজধানীর একটি হোটেলে ‘হালাল ইকোনমি ৩৬০: ড্রাইভিং গ্লোবাল গ্রোথ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (বিএমসিসিআই) আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে চৌধুরী আশিক বলেন, ‘বিশ্বজুড়ে অধিকাংশ হালাল পণ্যই অমুসলিম দেশগুলো উৎপাদন করে থাকে। এটি মুসলিমপ্রধান দেশের জন্য দুঃখজনক হলেও আমাদের জন্য বড় একটি সুযোগও। সঠিক নীতিমালা ও কার্যকর উদ্যোগের মাধ্যমে বাংলাদেশ হালাল অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।’

বিডা চেয়ারম্যান জানান, বিনিয়োগ আকর্ষণ ও অবকাঠামো উন্নয়নে সরকার নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। হালাল অর্থনীতির পূর্ণ সম্ভাবনা কাজে লাগাতে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব বৃদ্ধির ওপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন।

সেমিনারের শুরুতে বিএমসিসিআই সভাপতি সাব্বির এ খান বলেন, ‘হালাল অর্থনীতি এখন আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগে গুরুত্বপূর্ণ চালিকাশক্তি।’ তিনি জানান, ২০২৫ সালে বৈশ্বিক হালাল খাদ্যবাজারের আকার দাঁড়াবে ৩.৩০ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারে এবং ২০৩৪ সালের মধ্যে তা পৌঁছাবে ৯.৪৫ ট্রিলিয়নে। এই সময়ের মধ্যে বার্ষিক গড় প্রবৃদ্ধির হার হবে ১২.৪২ শতাংশ। বাংলাদেশের সামনে বিপুল সম্ভাবনার দিকটি তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘২০৩০ সালের মধ্যে শুধু মালয়েশিয়াতেই ৭-৮ বিলিয়ন ডলারের হালাল পণ্য রপ্তানি করা সম্ভব।’

সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার মোহাম্মদ শুহাদা ওসমান। তিনি বাংলাদেশ-মালয়েশিয়ার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের দৃঢ়তার কথা তুলে ধরেন এবং হালাল অর্থনীতি গঠনে মালয়েশিয়ার অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করতে আগ্রহ প্রকাশ করেন।

সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশ মালয়েশিয়া থেকে ২.৬ বিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি করলেও একই সময়ে মালয়েশিয়ায় রপ্তানির পরিমাণ ছিল মাত্র ২৯৩.৫১ মিলিয়ন ডলার। এই বাণিজ্য ভারসাম্যহীনতা কমাতে হালাল পণ্য খাত একটি কার্যকর সম্ভাবনা হতে পারে বলে মত দেন অংশগ্রহণকারীরা।

রূপালী বাংলাদেশ

Shera Lather
Link copied!