ঢাকা সোমবার, ০১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

রবি-গ্রামীণফোন চালু করল ফাইভ-জি

রূপালী প্রতিবেদক
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১, ২০২৫, ০৫:৩৫ পিএম
গ্রামীণফোন ও রবি-এর লোগো। ছবি- সংগৃহীত

পঞ্চম প্রজন্মের মোবাইল নেটওয়ার্ক প্রযুক্তি (ফাইভ-জি) যুগে প্রবেশ করল দুই বৃহৎ মোবাইল অপারেটর রবি আজিয়াটা ও গ্রামীণফোন। সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) দেশের প্রতিটি বিভাগীয় শহরে আনুষ্ঠানিকভাবে ফাইভ-জি সেবা চালুর ঘোষণা দিয়েছে গ্রামীণফোন। এর কয়েক ঘণ্টা আগেই বাণিজ্যিকভাবে ফাইভ-জি সেবা চালু করে রবি।

গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইয়াসির আজমান বিকেল ৩টা ৪০ মিনিটে প্রতিষ্ঠানটির অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে একটি ভিডিও বার্তার মাধ্যমে ৫জি সেবা চালুর ঘোষণা দেন।

তিনি বলেন, ‘আমরা সবসময়ই অনেক নতুন নতুন উদ্ভাবনী শক্তি নিয়ে আপনাদের কাছে আসি। আজকে আমি অত্যন্ত আনন্দিত, অত্যন্ত খুশির সঙ্গে জানাচ্ছি যে গ্রামীণফোনের নম্বর ওয়ান নেটওয়ার্ক থেকে আমরা আজকে ফাইভ-জি চালু করছি বাংলাদেশের প্রতিটি বিভাগীয় শহরে।’

এর আগে দুপুর ২টার দিকে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে রবির প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে আনুষ্ঠানিকভাবে রবির ফাইভ-জি কার্যক্রমের উদ্বোধন হয়।

তারা প্রথম পর্যায়ে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটের সাতটি নির্দিষ্ট এলাকায় রবি তাদের ফাইভ-জি নেটওয়ার্ক চালু করেছে।

রবি আজিয়াটার চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার সাহেদ আলম জানান, ‘আমরা গ্রাহক অভিজ্ঞতা নিচ্ছি এবং দেখছি যে ফাইভ-জি কতটুকু কাজ করছে। ফাইভ-জি কার্যক্রমের বাস্তবায়ন চলতে থাকবে। এই নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণের বিষয়টি নির্ভর করবে গ্রাহক অভিজ্ঞতা এবং ফাইভ-জি উপযোগী ডিভাইসের ওপর।’

তিনি আরও বলেন, রবির প্রায় ৬০ শতাংশ গ্রাহকের হাতে এখনো ফোর-জি ফোন রয়েছে, তবে কিছু এলাকায় ৬-৭ শতাংশ থেকে শুরু করে ২০ শতাংশ পর্যন্ত গ্রাহকের কাছে এরই মধ্যে ফাইভ-জি ফোন আছে। যেসব এলাকায় ১৫-২০ শতাংশ ব্যবহারকারী ফাইভ-জি ডিভাইস ব্যবহার করেন, সেসব এলাকাকে অগ্রাধিকার দিয়ে সেবা সম্প্রসারণ করবে রবি।

রবির লক্ষ্য, আগামী বছরের শেষ নাগাদ ৮০০ থেকে ১,০০০টি ফাইভ-জি সাইট স্থাপন করা।

ফাইভ-জি ইন্টারনেটের মূল্য ফোর-জির মতোই থাকবে বলেও জানিয়েছেন রবি কর্মকর্তারা।

রবির এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব, বিটিআরসির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মো. এমদাদ উল বারীসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।

বাংলাদেশে প্রযুক্তির নতুন যুগের দ্বার উন্মোচনের এই প্রতিযোগিতায় গ্রামীণফোন ও রবির এই পদক্ষেপে দেশজুড়ে দ্রুতগতির ইন্টারনেট সেবার নতুন সম্ভাবনার সূচনা হলো বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।