ঢাকা: বাজারে ডিমের চাহিদা থাকলেও সরবরাহ অনেক কমেছে। যে কারণে অধিকাংশ দেকানে মিলছে না ডিম। যা মিলছে তা অতি অল্প। যার প্রতি পিসের মূল্য ১৬ টাকা ৩৩ পয়সা। অর্থাৎ প্রতি হালি ৬৫ টাকা। প্রতি ডজন ১৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
অন্যদিকে সরকার নির্ধারিত বিক্রয় মূল্য প্রতি পিস ১১ টাকা ৮৮ পয়সা। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর মঙ্গলবার উৎপাদক ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করে এই দাম নির্ধারণ করে। প্রথমেই ব্যবসায়ীরা ‘হ্যাঁ’ বলেলেও কার্যত সেই দামে ডিম মিলছে না। ঢাকার অধিকাংশ দোকান এখন ডিমশুন্য।
বাজারে বাড়তি দামে ডিম কেনায় সরকারি মূল্যে তারা বিক্রি করতে পারছে না। কাজেই সরকারের অভিযান ও জরিমানার ভয়ে তারা দোকান বন্ধ রাখছেন।
ঢাকার মগবাজারে আব্দুর রাজ্জাক স্টোরের মাালিক মেহেদী হাসান বলেন, কারওয়ান বাজারে গতকাল (মঙ্গলবার) ডিম পাইনি। আগ একশ ডিম আড়তের বাইরে থেকে সংগ্রহ করেছি ১৫শ টাকায়। তাহলে বলেন, কিভাবে সরকারি মূল্যে ডিম বিক্রি করবো। প্রতি পিস কেনা ১৫ টাকা। সাথে আরো বাড়তি খরচ আছে।
আব্দুর রহিম মগবাজারে মাঝারি আকারে ডিমের একজন ব্যবসায়ী। প্রতিদিন মগবাজারে নির্দিষ্ট দোকান থেকে তিনি ডিম অন্যসব দোকানে সাপ্লাই দেন। তার সঙ্গে কথা হলে সকালে রূপালী বাংলাদেশ বলেন, আমার ঘরে সব সময় দুই-তিন হাজার ডিম থাকে। এখন একশ ডিমও নেই। যারা প্রধান খরিদদার তাদেরও দিতে পারছি না। চাহিদা আছে, হঠাৎ দাম বেশি। কি করবো, কেনিতে না পারলে বেচবো ক্যামনে?
আক্ষেপ করে তিনি বলেন, কাওয়ান বাজারে কাল তিনশ ডিম পেয়েছি। পনেরশ টাকা শ’। এক পিস ডিম ১৬ টাকার কমে বেচি ক্যামনে, বলেন। সরকার দাম দিছে ধরেন ১২ টাকা।
আপনার মতামত লিখুন :