রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভবনে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তে হতাহতের ঘটনায় জরুরি প্রয়োজনে জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে জরুরি হটলাইন চালু করা হয়েছে।
হটলাইন নম্বরটি হলো- 01949043697
এদিকে, এ ঘটনায় দগ্ধ রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। দগ্ধদের মধ্যে বেশির ভাগই শিক্ষার্থী। তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজের জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নেওয়া হচ্ছে।
উত্তরা আধুনিক হাসপাতালে ১২০ জন অগ্নিদগ্ধ চিকিৎসা নিয়েছেন। ওই হাসপাতালের সহকারী পরিচালক চিকিৎসক আকাশ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এখানে অগ্নিদগ্ধ ১২০ জন চিকিৎসা নিয়েছেন। বেশিরভাগেরই শরীর ৬০-৭০ শতাংশ পুড়ে গেছে। বেশিরভাগেরই বয়স ১৪ থেকে ২০ বছর। দুজন মারা গেছে। তার মধ্যে একজনের বয়স ১৫ বছর, আরেকজনের ২০ বছর। মৃতদের নাম ও পরিচয় জানা যায়নি।’
বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি হওয়া ২৮ জনের নাম পাওয়া গেছে। ইনস্টিটিউটের ভর্তি তালিকায় থাকা দগ্ধরা হলেন— শামীম ইউসুফ (১৪), মাহিন (১৫), আবিদ (১৭), রফি বড়ুয়া (২১), সায়েম (১২), সায়েম ইউসুফ (১৪), মুনতাহা (১১), নাফি (), মেহেরিন (১২), আয়মান (১০), জায়েনা (১৩), ইমন (১৭), রোহান (১৪), আবিদ (৯), আশরাফ (৩৭), ইউশা (১১), পায়েল (১২), আলবেরা (১০), তাসমিয়া (১৫), মাহিয়া (), অয়ন (১৪), ফয়াজ (১৪), মাসুমা (৩৮), মাহাতা (১৪), শামীম, জাকির (৫৫), নিলয় (১৪) সামিয়া।
বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় ১৯ নিহত এবং ৫০ জনের বেশি আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান। উদ্ধারকাজ এখনো চলছে বলেও জানান তিনি।
এ ঘটনায় আগামীকাল মঙ্গলবার একদিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে।
জানা গেছে, বিমানটি একটি শ্রেণিকক্ষের ওপর আছড়ে পড়ে। সঙ্গে সঙ্গে ভবনটিতে আগুন ধরে যায়। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার সময় সেখানে কোচিং ক্লাস চলছিল। এই সময় প্রায় ১০০ থেকে ১৫০ জন শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিল।
