বুধবার, ১৫ অক্টোবর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৫, ২০২৫, ০২:৫৬ পিএম

আগুন নেভাতে বিশেষ পোশাকে প্রবেশের প্রস্তুতি ফায়ার সার্ভিসের

রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৫, ২০২৫, ০২:৫৬ পিএম

বিশেষ সুরক্ষা পোশাকে দমকল কর্মীরা।

বিশেষ সুরক্ষা পোশাকে দমকল কর্মীরা।

 

রাজধানীর মিরপুরের শিয়ালবাড়িতে রাসায়নিক গুদামে লাগা আগুন এখনও পুরোপুরি নেভানো সম্ভব হয়নি। গুদামের ভেতরে প্রবেশ করা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা বিশেষ সুরক্ষা পোশাক (কেমিক্যাল স্যুট) পরিধান করে ভেতরে ঢোকার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, ভেতরে আর কোনো মরদেহ রয়েছে কি না, তা নিশ্চিত হতে তারা সর্বোচ্চ সতর্কতার সঙ্গে কাজ করছে।

মিরপুরের আগুনে অন্তত ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। টিনশেড দোতলা গুদামটিতে আগুন লাগার পর তা বিস্ফোরিত হয়ে পাশের একটি চারতলা ভবনে ছড়িয়ে পড়ে। ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, নিহত ব্যক্তিদের মরদেহ চারতলা ভবনটির দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলার বিভিন্ন স্থান থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।

গতকাল ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট প্রায় সাড়ে সাত ঘণ্টার চেষ্টার পর সন্ধ্যা ৭টার দিকে ভবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। তবে গুদামের রাসায়নিকের কারণে আগুন পুরোপুরি নেভানো সম্ভব হচ্ছে না।

যে ভবন ও গুদামে গতকাল আগুন লাগে, তার আশপাশের কয়েকটি পোশাক কারখানা আজ বুধবার (১৫ অক্টোবর) সকালে খোলা হয়েছিল। গুদাম থেকে বের হতে থাকা বিষাক্ত ধোঁয়ার কারণে কয়েকজন শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং তাদের হাসপাতালে পাঠানো হয়। এই ঘটনার পর ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ মাইকিং করে দ্রুত ওই এলাকার কারখানাগুলো বন্ধ করার নির্দেশ দেয়।

রূপনগর থানার শিয়ালবাড়ির ৩ নম্বর সড়কে টিনশেডের রাসায়নিক গুদাম ও চারতলা ভবনটি অবস্থিত। চারতলা ভবনটির ছাদে টিনশেড দিয়ে আরও একটি তলা নির্মাণ করা হয়েছে। ভবনটির দ্বিতীয় তলায় ‘স্মার্ট প্রিন্টিং’ (টি-শার্ট প্রিন্ট করা হয়) এবং তৃতীয় ও চতুর্থ তলায় ‘আরএন ফ্যাশন’ (পোশাক কারখানা) নামের প্রতিষ্ঠান রয়েছে।

জানা গেছে, আগুন লাগা এই ভবন বা গুদাম কোনোটিতেই অগ্নিনিরাপত্তার কোনো ব্যবস্থা ছিল না। এমনকি ভবন বা রাসায়নিক গুদাম—কোনোটিরই ফায়ার সেফটি প্ল্যান বা লাইসেন্স ছিল না।

Link copied!