‘রিসাইকেল ইউর ই-ওয়েস্ট, ইট’স ক্রিটিক্যাল’ এই গুরুত্বপূর্ণ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে হলো ‘আন্তর্জাতিক ই-বর্জ্য দিবস ২০২৫’। দেশের অন্যতম শীর্ষ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান স্মার্ট টেকনোলজিস (বিডি) লিমিটেড এবং সামাজিক সংগঠন লাল-সবুজ সোসাইটির যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত এই সচেতনতামূলক অনুষ্ঠানে উঠে আসে ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জরুরি দিকগুলো।
মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) স্মার্ট টেকনোলজিস (বিডি) লিমিটেডের প্রধান কার্যালয়ে এই সচেতনতামূলক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি স্মার্ট টেকনোলজিসের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘ই-বর্জ্য বা ইলেকট্রনিক বর্জ্য পরিবেশ ও মানবস্বাস্থ্যের জন্য এক ভয়াবহ হুমকি। ই-বর্জ্য মাটিতে মিশে গিয়ে দূষণ সৃষ্টি করে এবং পানির স্তরকে বিষাক্ত করে তোলে। এসব বিষাক্ত উপাদান মানুষের স্নায়ুতন্ত্র, কিডনি ও প্রজনন ক্ষমতার ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে।’
তিনি আরও বলেন, ‘শিশুদের ক্ষেত্রে এর প্রভাব আরও ভয়াবহ—বুদ্ধিবিকাশে বাধা, শ্বাসকষ্ট ও ত্বকের রোগ দেখা দিতে পারে। তাই ই-বর্জ্যকে যথাযথভাবে সংগ্রহ, রিসাইকেল ও নিষ্পত্তি করা অত্যন্ত জরুরি, যাতে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি নিরাপদ ও বাসযোগ্য পৃথিবী নিশ্চিত করা যায়।’
অনুষ্ঠানের মূল প্রতিপাদ্য বিষয়গুলো তুলে ধরেন স্মার্ট টেকনোলজিসের হেড অব এইচআর চৌধুরী গোলাম নুর এ সানি। তিনি ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় কর্পোরেট জবাবদিহিতা এবং কর্মীদের সচেতনতা বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে ব্যবসায়িক সম্ভাবনার দিক তুলে ধরেন ই-রিভাইভ এর সিইও ওয়ালিদ খান। তিনি বলেন, ‘সঠিক প্রযুক্তি ও উদ্যোগের মাধ্যমে ই-বর্জ্য রিসাইকেলিং একটি লাভজনক ও পরিবেশবান্ধব খাত হয়ে উঠতে পারে।’
অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন লাল সবুজ সোসাইটির ভলান্টিয়ার কো-অর্ডিনেটর আজিজুন নাহার তমা।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন