ঢাকা মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর, ২০২৫

সেনা অভিযানে জেনেভা ক্যাম্প থেকে ৩২টি ককটেল উদ্ধার, আটক ৪

রূপালী প্রতিবেদক
প্রকাশিত: অক্টোবর ২১, ২০২৫, ১১:১৫ এএম
ছবি - সংগৃহীত

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জেনেভা ক্যাম্পে বসিলা আর্মি ক্যাম্প ও বিটিসহ চলমান যৌথ অভিযানে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযানকালে মোট চারজনকে আটক করা হয়েছে এবং ৩২টি তাজা ককটেলসহ বিস্ফোরক তৈরির সরঞ্জাম বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

সোমবার (২০ অক্টোবর) রাত সোয়া ৩টার দিকে বসিলা ক্যাম্পে প্রথমে ১৮টি ও পরে ১৪টি- মোট ৩২টি ককটেল নিষ্ক্রিয় করা হয়। ককটেলগুলো স্থানীয়ভাবে তৈরি করা হয়েছিল বলে নিশ্চিত করেছে সেনাবাহিনী।

সেনাবাহিনীর পাঠানো সংক্ষিপ্ত বার্তায় বলা হয়, বসিলা আর্মি ক্যাম্প থেকে পাঠানো একটি দল বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে এসব ককটেল উদ্ধার করে। উদ্ধারকৃত ককটেলগুলো রাত সোয়া ৩টার দিকে সেনাবাহিনীর বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট নিরাপদ স্থানে নিয়ে গিয়ে নিষ্ক্রিয় করে। পুরো প্রক্রিয়া চলাকালে ঘটনাস্থলের নিরাপত্তা জোরদার করা হয় এবং ঘটনাটি সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। সেনাবাহিনী দুটি ভিডিও প্রকাশ করে- একটি ভিডিওতে আটক ব্যক্তিদের একটি গাড়িতে তোলা দেখা যায়, অপরটি নিরাপত্তা সচেতনতার সঙ্গে উদ্ধারকৃত বিস্ফোরক সামগ্রী গাড়িতে তোলা দেখায়।

অভিযানের সময় সেনা সূত্র জানায় উদ্ধারকৃত ককটেলগুলো স্থানীয়ভাবে তৈরি করা হয়েছিল। পরে একটি ব্রিফিংয়ে ২৩ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল নাজিম আহমেদ জানান, ৪৬ স্বতন্ত্র পদাতিক ব্রিগেড, মোহাম্মদপুর ও আদাবর থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে বিস্ফোরক, আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির উপকরণ ও মাদক উদ্ধার করা হয়েছে।

সূত্রে বলা হয়েছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে প্রথম ধাপে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়; তাদের কাছ থেকে সাতটি ধারালো অস্ত্র ও তিনটি স্প্রিন্টার পাওয়া যায়। গ্রেপ্তারকৃতদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রাত সাড়ে ৯টার দিকে (আগেই অভিযান পরিচালিত হবে বলে) জেনেভা ক্যাম্পে আরও একধাপ অভিযান চালানো হলে একটি বাসার দুটি কক্ষ থেকে আরেকজনকে আটক করা হয় এবং সেখান থেকেই ৩২টি তাজা ককটেল, মার্বেল, গান পাউডার ও বিস্ফোরক তৈরির অন্যান্য উপকরণ উদ্ধার করা হয়- ফলে মোট আটক বেড়ে চারজনে দাঁড়ায়।

লেফটেন্যান্ট কর্নেল নাজিম জানান, ককটেলগুলো ব্লেন্ডার মেশিন ব্যবহার করে মার্বেল ও গান পাউডার মিশিয়ে তৈরি করা হয়েছিল।

তিনি আরও জানিয়েছেন, উদ্ধারকৃত সামগ্রীর পরিমাণ ও প্রকৃতি দেখে ধারণা করা হচ্ছে- এটি একটি বিস্তৃত নেটওয়ার্কের অংশ; আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে মূল হোতা শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।

সেনা সূত্র আরও জানায়, আটককৃতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্দেশ্যে মোহাম্মদপুর থানায় হস্তান্তর করা হবে। অভিযানের সময় ও পরে উদ্ধারকৃত সামগ্রী বিস্ফোরণ রোধে নিরাপদ স্থানে নিষ্ক্রিয় করার পুরো কার্যক্রম সেনাবাহিনী তত্ত্বাবধানে সম্পন্ন করেছে।