গাজীপুরের টঙ্গীতে একটি টেক্সটাইল কারখানার অস্থিরতা সৃষ্টির লক্ষ্যে বেশ কয়েকটি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা ইসহাক রুহুল্লাহকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথবাহিনী।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) টঙ্গী থেকে যৌথবাহিনীর চৌকস অফিসারদের নিরলস প্রচেষ্টায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ২৩ মে মহানগরীর টঙ্গী থানা এলাকার স্যাটার্ন টেক্সটাইল লিমিটেডের ফেব্রিক স্ক্র্যাপ বিষয়ক সমস্যা নিয়ে অস্থিরতা সৃষ্টি করে ওই নেতা। এ সময় বেশ কয়েকটি বোমা বিস্ফোরিত হয়। এ ঘটনায় বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে টঙ্গী পশ্চিম থানায় মামলা করা হয়েছিল।
পুলিশ জানায়, গত শুক্রবার সকালে গাজীপুর মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যসচিব হালিম মোল্লা ও গাজীপুর মহানগরের ৫০ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কাজীর পক্ষের প্রায় তিন শ সমর্থক টঙ্গীর গাজীপুরা স্যাটার্ন টেক্সটাইল লিমিটেড নামের কারখানার বর্জিত মালামাল নামাতে কারখানাটির সামনে আসেন। কিছুক্ষণ পর ট্রাকবোঝাই করে কারখানার ঝুটসহ বর্জিত মালামাল নিয়ে যেতে চেষ্টা করেন হালিম মোল্লার লোকজন। পরে ওই ঘটনায় একটি মামলা করা হয়।
এদিকে, মামলার পর জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করতে তাৎক্ষণিক যৌথবাহিনী ছদ্মবেশে গোপনে ও প্রকাশ্যে অনুসন্ধান শুরু করে। যৌথবাহিনী এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে টঙ্গীতে অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের টঙ্গী পশ্চিমের আহবায়ক ইশাক রুহুল্লাহকে (২৬) আটক করা হয়।
অন্যদিকে, আটক ইশাক জিজ্ঞাসাবাদে যৌথবাহিনীর কাছে ককটেল বিস্ফোরণের সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। তিনি সেখানে অ্যান্টি ফ্যাসিস্ট আন্দোলনের জন্য উপস্থিত ছিলেন।
পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে তাকে টঙ্গী পশ্চিম থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
জিএমপির টঙ্গী পশ্চিম থানার ওসি ইস্কান্দার হাবিব জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা ইশাক রুহুল্লাকে আটকের পর যৌথবাহিনী থানায় হস্তান্তর করেছেন। তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।