বৃহস্পতিবার, ১৪ আগস্ট, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


মেডিকেল প্রতিবেদক

প্রকাশিত: আগস্ট ১৪, ২০২৫, ০১:৩৯ পিএম

‘আপনাদের মেয়ে আর নেই’— মধ্যরাতে শাশুড়িকে জানিয়ে জামাই উধাও

মেডিকেল প্রতিবেদক

প্রকাশিত: আগস্ট ১৪, ২০২৫, ০১:৩৯ পিএম

ফাহমিদা তাহসিন কেয়া ও তার স্বামী সিফাত। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

ফাহমিদা তাহসিন কেয়া ও তার স্বামী সিফাত। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

রাজধানীর শেওড়াপাড়ায় ফাহমিদা তাহসিন কেয়া (২৫) নামে চার সন্তানের এক জননীর রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয়েছে। নিহত কেয়া পশ্চিম শেওড়াপাড়ার শামীম সরণির অনামিকা কনকর্ড অ্যাপার্টমেন্টে সন্তানসহ স্বামীর সঙ্গে বসবাস করতেন।

কেয়ার পরিবারের অভিযোগ, পারিবারিক কলহের জেরে স্বামী সিফাত আলী (৩০) তাঁকে শ্বাসরোধে হত্যার পর কৌশলে ফোনে খবর দিয়ে পালিয়ে গেছে।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত মিরপুর মডেল থানার এসআই মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমরা ঘটনাস্থলে এসে সরেজমিন কাজ শুরু করেছি। মরদেহ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মৃত্যুর কারণ এখনো স্পষ্ট নয়। তবে স্বামী পলাতক।

নিহতের ফুফু সৈয়দা ফাতেমা জাহান কলি জানান, রাত ২টার দিকে সিফাত শাশুড়ি নাজমা বেগমকে ফোন করে জানায়, কেয়া খুব অসুস্থ, বাসায় আসতে হবে। কী হয়েছে জানতে চাইলে একপর্যায়ে সে স্বীকার করে, ‘কেয়া আর বেঁচে নেই।’

পরে নাজমা বেগম ও তার স্বামী রফিকুল ইসলাম দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেন, সিফাত কেয়াকে নিয়ে পান্থপথের বিআরবি হাসপাতালে যাচ্ছে। হাসপাতালে পৌঁছার পর ডাক্তাররা তাকে মৃত ঘোষণা করলে সিফাত পালিয়ে যান। পরে তারা বাসায় ফিরে দেখেন, সিফাত বাসায় তালা দিয়ে পালিয়ে গেছেন।

নিহতের বাবা রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘সিফাত বদমেজাজি, সন্তানদের সামনেই মেয়েকে মারধর করত। কয়েক দিন আগে কেয়া বলেছিল সংসার করবে না, ফিরে আসতে চায়। আমরা বুঝিয়েছি—এটাই ভুল ছিল। আজ খেসারত দিলাম মেয়েটাকে হারিয়ে।’ তিনি অভিযোগ করেন, ‘গলায় দাগ দেখেছি। সুস্থ মানুষ হঠাৎ মারা যাবে না। সিফাত কেন পালাবে? এটা হত্যাকাণ্ড।’

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত সিফাতের বাবা দীর্ঘদিন ধরে হংকংয়ে থাকেন, মা অনেক আগেই মারা গেছেন।

মিরপুর মডেল থানার ওসি মো. সাজ্জাত রোমান বলেন, ‘মরদেহ মর্গে আছে। সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত শেষে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। আত্মহত্যা নাকি হত্যা, তদন্তে তা স্পষ্ট হবে।’

Shera Lather
Link copied!