ছাত্র–জনতার জুলাই গণঅভ্যুত্থান দমনে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল–১। শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান কামালের ফাঁসির আদেশ দেওয়া হলেও এ মামলার রাজসাক্ষী সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল–মামুনকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) বিকেল পৌনে ৩টায় বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদার নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
রায়ে তিনটি কাউন্টে শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালকে মৃত্যুদণ্ড এবং বাকি তিনটি কাউন্টে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তাদের বিরুদ্ধে শীর্ষ নেতৃত্বের দায় বা সুপিরিয়র রেসপনসিবিলিটি- এই অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে।
অন্যদিকে, মামলার রাজসাক্ষী ও সাবেক পুলিশপ্রধান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল–মামুনকে দুটি অভিযোগে মোট ৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। রায়ে উল্লেখ করা হয়, আন্দোলনের ৩৬ দিনের সব ঘটনায় তার সম্পৃক্ততা ছিল, তবে সত্য প্রকাশ ও বিচার প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা করায় তার সাজায় নমনীয়তা দেখানো হয়েছে।
রায় সম্পর্কে প্রসিকিউটর গাজী মনোয়ার হোসেন তামিম জানান, তিন আসামির বিরুদ্ধে আনা পাঁচটি অভিযোগকে ছয়টি কাউন্টে ভাগ করে দুটি অভিযোগ হিসেবে বিচার করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘চৌধুরী আবদুল্লাহ আল–মামুন মৃত্যুদণ্ড পাওয়ার যোগ্য ছিলেন। কিন্তু তিনি রাজসাক্ষী হয়ে ট্রাইব্যুনালকে সঠিক রায় দিতে সহায়তা করেছেন এবং ক্ষমা চেয়েছেন- এসব বিবেচনায় তাকে পাঁচ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।’
-20251117160320.webp)

