দেশের আয়ের উৎস হলো এনবিআর (জাতীয় রাজস্ব বোর্ড)। বিভিন্ন কারণে এনবিআরের ট্যাক্স কালেকশন কমেছে। ২০১৫ সালে বাংলাদেশে ট্যাক্স জিডিপির রেশিও ছিল ১০.৯ এবং এখন তা নেমে হয়েছে ৮.২। মানুষ যে টাকা দেয় এবং এনবিআরের রিপোর্টের মধ্যে বড় পার্থক্য রয়েছে। এখানে করাপশন বেশি এবং গুড গভনেন্সের চরম ঘাটতি রয়েছে।
রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে রোববার সকালে (২৪ নভেম্বর) সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) এক অনুষ্ঠানে নির্বাহী পরিচালক ড. মোস্তাফিজুর রহমান এসব কথা বলেন।
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, দরিদ্র এবং অতি দরিদ্রদের নূন্যতম আয়ের নিশ্চয়তা দিতে পারছে না রাষ্ট্র। এটি রাষ্ট্রের ব্যর্থতা। সর্বনিম্ন আয়ের নিশ্চয়তা রাষ্ট্রকেই দিতে হবে। আমাদের যে আয় আছে তার সঙ্গে আর বাড়তি কতটুকু যোগ করলে গ্যারান্টি ইনকাম হবে, সেটা রাষ্ট্রকে করতে হবে।
‘বাংলাদেশে নূন্যতম আয়’ নিয়ে সিপিডির ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, নূন্যতম আয় আমার অধিকার। এটা বাংলাদেশের নাগরিকের অধিকার; সমস্যা হলো রাষ্ট্রের। নাগরিকের প্রাপ্ততা নিশ্চিত করতে যা করা দরকার রাষ্ট্রকে তা করতে হবে।
সিপিডির অনুষ্ঠানের বিএনপির স্থায়ী কমিটির শীর্ষ নেতা আমির খসরু বলেন, বিগত দিনে এতো দূর্নীতি হয়েছে- তা নিয়েই এখন ভাবনা কারণ। ১০ হাজার কোটি টাকার প্রজেক্ট কিভাবে ৪০ হাজার হয় তা আমরা দেখেছি। তাই গুড গভনেন্স ছাড়া কিছুই সম্ভব নয়। আফগানিস্তানের চেয়েও এখানে খারাপ অবস্থা। তাই আমরা চিকিৎসা এবং এডুকেশন ফ্রি করার কথা ভাবছি।
তিনি আরো বলেন, আমরা ভিশন ২০৩০ তে বলেছি পড়াশুনা শেষ করে কেউ এক বছরের মধ্যে চাকরি না পেলে সরকার তাদের ভাতা দেবে। তবে এখানে কথা হলো চাকরি না পাওয়ার কারণ কি, তার দক্ষতার অভাব, না অন্যকিছু।
সভায় বক্তারা বলেন, এখানে রাজনীতিক শুধু নয়; সামাজিক অস্থিরতাও এখানে রয়েছে। অনুষ্ঠানে সরকারের বিভিন্ন দফতরে শীর্ষ কর্মকর্তা, বিদেশী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ ব্যক্তি এবং এনজিও নির্বাহীরা অংশ নেন।

সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন