শনিবার, ০৮ নভেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: নভেম্বর ৮, ২০২৫, ০৫:৩৮ পিএম

উদ্ভাবন, নীতি ও সহযোগিতা নিয়ে অনুষ্ঠিত হলো ৫ম বাংলাদেশ ফিনটেক সামিট

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: নভেম্বর ৮, ২০২৫, ০৫:৩৮ পিএম

ছবি- সংগৃহীত

ছবি- সংগৃহীত

‘ফিউচার অব ফিনটেক: ডিজিটাল, ডিসেন্ট্রালাইজড, ডেমোক্রেটাইজ’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে অনুষ্ঠিত হলো পঞ্চম বাংলাদেশ ফিনটেক সামিট। শনিবার (৮ নভেম্বর) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে মাস্টারকার্ডের সৌজন্যে এবং প্রাইম ব্যাংক পিএলসির সঞ্চালনায় এ সামিট অনুষ্ঠিত হয়।

বাংলাদেশ ফিনটেক ফোরামের উদ্যোগে দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হওয়া এ সামিটে ব্যাংকিং, আর্থিক সেবা, ফিনটেক, প্রযুক্তি, বিনিয়োগ, নিয়ন্ত্রক সংস্থা, স্টার্টআপ উদ্যোক্তা, গবেষক, নীতি–নির্ধারক ও একাডেমিক বিশেষজ্ঞরা অংশ নেন। এতে উঠে আসে- ডিজিটাল আর্থিক খাতকে আরও আধুনিক, নিরাপদ ও উদ্ভাবনমুখী করতে নীতি, প্রযুক্তি ও সহযোগিতার প্রাসঙ্গিকতাসহ দেশের ফিনটেক খাতকে ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত করার রুপরেখা প্রণয়ন সম্পর্কিত আলোচনা।

সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘একটি শক্তিশালী ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ফিনটেক খাত গড়ে তুলতে আমাদের উদ্ভাবনী প্রচেষ্টাকে উৎসাহ প্রদান করতে হবে। নীতিগত প্রস্তুতি এবং আর্থিক খাতে আস্থা সুদৃঢ় করতে হবে। আমি বিশ্বাস করি—সমন্বিত প্রচেষ্টা ও সুস্পষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি থাকলে বাংলাদেশ আত্মবিশ্বাসের সাথে আরও এগোতে পারবে এবং বৈশ্বিক ডিজিটাল অর্থনীতিতে নিজের অবস্থানকে আরও দৃঢ় করবে।’

স্বাগত বক্তব্যে বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং বাংলাদেশ ইনোভেশন কনক্লেভের প্রতিষ্ঠাতা শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশের ফিনটেক খাতে আমাদের অগ্রগতি দ্রুত বাড়ছে। এখন দরকার সমন্বয়, দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা এবং যৌথভাবে এগিয়ে যাওয়ার মানসিকতা। এসব মিলেই খাতটি ভবিষ্যতের বড় সুযোগগুলোকে কাজে লাগাতে পারবে।’

তিনটি কি নোট সেশন, তিনটি প্যানেল ডিসকাশন, দুটি ইনসাইট সেশন এবং একটি কেইস স্টাডির সমন্বয়ে এই বছরের সামিট অনুষ্ঠিত হয়। এসব আলোচনায় প্রাধান্য পায় ফিনটেক নীতি, প্রযুক্তির নতুন সম্ভাবনা, বাজারচাহিদা, নিরাপত্তা, প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা ও আর্থিক অন্তর্ভুক্তির মতো বিষয়সমূহ।

সামিটের কিনোট সেশনগুলোতে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- ইস্টার্ন ব্যাংকের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড চিফ অপারেটিং ওসমান এরশাদ ফায়েজ, প্রাইম ব্যাংক ফিনটেক লিমিটেডের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার শেখ আমিনুর রহমান, গ্লোবাল ফাইন্যান্স অ্যান্ড টেকনোলজি নেটওয়ার্কের গ্রুপ চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার ও মনিটারি অথরিটি অব সিঙ্গাপুরের (গভর্নমেন্ট অব সিঙ্গাপুর) অ্যাডভাইজর সপনেন্দু মুহান্তি।

ওসমান এরশাদ ফায়েজ তার সেশনে বাংলাদেশের ফিনটেকের ইকোসিস্টেম তুলে ধরেন যেখানে তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই ফিনটেক ইনক্লুশন অর্জনের জন্য উপযুক্ত তবে অর্থবহ প্রবৃদ্ধি অর্জনের জন্য শুধু ডিজিটালাইজেশনে থেমে না থেকে ক্রেডিট, সেভিংস, ইনস্যুরেন্স ও ওয়েলথ টুলস এর মাধ্যমে ফান্ডিং তৈরি করাই এখন সবচেয়ে জরুরি। দেশে ফিনটেক স্টার্টআপগুলোর জন্য ফান্ডিং এখনো একটি বড় চ্যালেঞ্জ; তবে সিঙ্গাপুরের অ্যাপিক্স প্ল্যাটফর্ম–এর মতো কাঠামোবদ্ধ সহযোগিতার মডেল টেকসই অর্থায়নের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে পারে। মাইক্রো সেভিংস, স্টার্টার ক্রেডিট এবং গ্যামিফায়েড ফাইন্যান্স–এর মতো উদ্ভাবন তরুণ প্রজন্মকে যুক্ত করতে পারে এবং প্রজন্মগত ব্যবধান কমাতে ভূমিকা রাখতে পারে। অন্যদিকে, সেন্ট্রাল অ্যাডমিসিভ সিস্টেম এবং আইডেন্টিটি-শিল্ডেড পেমেন্ট আইডেন্টিফায়ার সিস্টেমগুলো ক্রস-ব্যাংক কানেক্টিভিটি সহজ করে এবং ট্রানজ্যাকশন ফ্রিকশন কমাতে সক্ষম।

তিনি আরও উল্লেখ করেন, ‘এআই-ড্রিভেন ক্রেডিট স্কোরিং, ইউনিফাইড কেওয়ায়সি পোর্টাল এবং শক্তিশালী সাইবার গভর্নেন্স–এর মাধ্যমে ডিজিটাল ফাইন্যান্স খাত এসএমই লেন্ডিং বাড়াতে, মিডেলম্যান কমাতে এবং বাংলাদেশকে ২০৩০ সালের মধ্যে ট্রিলিয়ন-ডলার ইকোনমি হিসেবে গড়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

বিশেষজ্ঞ আলোচকরা ডিজিটাল ফাইন্যান্সের বৈশ্বিক ধারা, বাংলাদেশের ফিনটেক উদ্যোগের সম্ভাবনা এবং তাদের আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতার নিরিখে দেশের ভবিষ্যৎ ফিনটেক প্রবৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় গতিবিধি ও রুপরেখা নিয়ে আলোচনা করেন।

এ ছাড়াও সামিটের অন্যান্য সেশনে ডিজিটাল ব্যাংকিং মডেল, এআই নির্ভর আর্থিক প্রযুক্তি, ছোট ও মাঝারি ব্যবসার জন্য সংযুক্ত ফিনটেক সমাধান, অ্যালগরিদম ভিত্তিক ফাইন্যান্স এবং নীতি সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা হয়।

এসব আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন- মাস্টারকার্ড বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার সাইদ মোহাম্মদ কামাল, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক পিএলসির ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার সাইদ মাহবুবুর রহমান, সিটি ব্যাংক পিএলসির ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার মাশরুর আরেফিন, ইস্টার্ন ব্যাংক পিএলসির ম্যানেজিং ডিরেক্টর আলী রেজা ইফতেখার, গ্রিন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্সের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার ফারজানা চৌধুরী, ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনস, ইনফিনিজেন্ট কনসাল্টিং ও ব্যাংকার অ্যান্ড পেমেন্ট প্রফেশনালের ডিরেক্টর গিতাঙ্ক দত্ত, প্রাইম ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড চিফ ইনফরমেশন অফিসার সাইদ সাজ্জাদ হায়দার চৌধুরী, পূবালী ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার মোহাম্মদ আলী, ইউনাইপেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার মোহাম্মদ মামদুদুর রাশেদসহ অন্যান্যরা।

মাস্টারকার্ডের সৌজন্যে এবং প্রাইম ব্যাংকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত পঞ্চম বাংলাদেশ ফিনটেক সামিট বাংলাদেশ ফিনটেক ফোরামের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়। আয়োজনে ছিলো বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরাম। ইনোভেশন পার্টনার - বাংলাদেশ ইনোভেশন কনক্লেভ, অফিশিয়াল ক্যারিয়ার পার্টনার - টার্কিশ এয়ারলাইন্স, এবং পিআর পার্টনার - ব্যাকপেইজ পি আর।

Link copied!